ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশের উপর ৩৭% শুল্ক আরোপ

নতুন বাজার ধরার পাশাপাশি আমাদের পরনির্ভরশীলতা থেকে বের হয়ে নিজেদের অর্থনীতির দিকে নজর দিতে হবে ।
মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে অভ্যন্তরীণ বাজারকে ব্যবহার করে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা অনেকাংশে অভ্যন্তরীণ বাজারের মাধ্যমে ও মানবসম্পদকে ব্যবহার করে বিলিয়নিয়ার বনে গেছে এবং দেশকে মেলে ধরছে বিশ্ব বাজারে ।সংকটকালীন সময়েও এবারের ঈদ বাজারে আমাদের দেশে ব্যাপক হারে লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক নির্ভর ও রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি বরাবরই পীরাদায়ক ও হুমকি স্বরুপ।সাথে সরকারের নীতি-পলিসি পরিবর্তন করে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক বান্ধব হতে হবে।অনেক ভালো মানের ব্যবসায়ীও ঝরে পরে বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশে।আমাদের দ্রত আমেরিকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ করে কৌশলগত দিক বের করতে হবে।ট্রাম্প প্রশাসন এমন এক সময় এই সিদ্ধান্ত নিল যখন আমরা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বৃদ্ধির কথা বলছিলাম।যাইহোক যুক্তরাষ্ট্রে আমরা বেসিক আইটেম রপ্তানি করি।এই অবস্থায় এই আইটেমে তাদের দেশের নাগরিকদেরও বাড়তি ট্যারিফ বহন করতে হবে।যেহেতু কম-বেশি সব দেশেই এই ট্যারিফ জারি করা হয়েছে তাই সব দিক দেখে আমাদের এগোতে হবে।পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আমাদের থেকে কম ট্যারিফ আরোপ করায় তারা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ।
এছাড়াও তাদের দেশের সরকার বস্ত্র শিল্পের বিকাশে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে ।তাই আমাদেরও কাল বিলম্ব না করে এই সেক্টরের সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করতে হবে ।আবার আমাদের অনেক প্রতিযোগী দেশে আমাদের থেকে বেশি ট্যারিফ ধরা হয়েছে।নেটওয়ার্কিংয়ের যুগে যুক্তরাষ্ট্র বহির্বিশ্বের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে তারা কতটা লাভবান হয় সেটাও দেখার বিষয় ।ইউরোপের নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যে বলেছে ট্রাম্প বিশ্বে দূভিক্ষের সৃষ্টি করছে।আমাদের পণ্যের বৈচিত্র্যের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টি আবশ্যিক হয়ে পড়েছে ।এলডিসি পরবর্তী সময়ের কথা ভেবে এখনই আমাদের রেডি হতে হবে।সরকারের পক্ষ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংস্হাগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।যাইহোক আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রকেও হিমশিম খেতে হবে এটা বাস্তবায়নে।পণ্যের ন্যায্যে মূল্যের পাশাপাশি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও নতুন পণ্যের বাজার আমাদের স্বাবলম্বী করে তুলবে।