দু'শ টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে আসামীপক্ষের ধান বিক্রি

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মাত্র দুইশো টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুনের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত অপূর্ব চন্দ্র দাস (২০) বাজিতপুর কৈলাগ ইউনিয়নের কচুয়াখলা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের বিশ্বনাথ চন্দ্র দাসের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, ১. দুলাল চন্দ্র দাসের ছেলে কেশ্বব চন্দ্র দাস ২.শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে উজ্জল চন্দ্র দাস ৩. নন্দলাল চন্দ্র দাসের ছেলে গোবিন্দ চন্দ্র দাস এবং ৪. শ্যাম চন্দ্র দাসে ছেলে শুভ চন্দ্র দাস সহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জন। উল্লেখিত চার জনের সকলেই বাজিতপুর কৈলাগ ইউনিয়নের কচুয়াখলা গ্রামের বাসিন্দা এবং নিহতের বন্ধু।
জানা যায়, শনিবার (৩ মে) বিকালে বাড়ির সামনে হাওরে ধান তুলছিলো অপূর্ব। এসময় সময় চার বন্ধু কেশ্বব চন্দ্র দাস, উজ্জল চন্দ্র দাস, গোবিন্দ চন্দ্র দাস, শুভ চন্দ্র দাস অপূর্বকে ধার দেওয়া দুইশো টাকা ফেরত চাই। এ নিয়ে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে চার বন্ধু সহ আরও কয়রকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র কুড়াল রামদা দিয়ে অপূর্বের চার হাত-পায়ে কুপিয়ে মারাত্মক যখন করে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল স্থানান্তর করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (৪ মে) রাতে অপূর্বের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর লাশ এলাকায় নিয়ে আসলে, এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে আসামীপক্ষের শত শত মন ধান লুঠপাটের আশংকা থেকে পুলিশের উপস্থিতে ধান বিক্রি করছেন আসামি পক্ষের লোকজন। তবে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ধান বিক্রির বিষয়টি তাদের অজানা। হয়তো নিরাপত্তার স্বার্থে সড়িয়ে রাখতে পারেন।
নিহতের বাবা বিশ্বনাথ চন্দ্র দাস তার ছেলের হত্যা কারীদের কঠিন শাস্তির দাবী করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অভিযুক্ত চার বন্ধু স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা করে তারা। গতকাল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় অপূর্বকে কুপিয়ে জখম করে তারা।
বাজিতপুর থানার ওসি মুরাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের উপস্থিততে ধান বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলে, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, এসময় চুরির স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেগুলো পাহাড়া দিচ্ছেন। তবে ধান বিক্রির বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।