সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার, বিএনপির করা মামলার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বুধবার (২৫ জুন) এই গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া উইংয়ের ডেপুটি কমিশনার তালেবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ২২ জুন রাতে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আরেক সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে।
বিএনপির করা মামলার প্রেক্ষাপট:
এই গ্রেপ্তার দুটি ঘটেছে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে, যা বিএনপি দায়ের করেছে শেরেবাংলা নগর থানায়।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হুমকি, অপহরণ এবং নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। এইসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার থেকে বিরোধীদলকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
মামলার আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খান-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। অভিযোগপত্রে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়, যাদের মধ্যে রয়েছেন:
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার:
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ
কে এম নূরুল হুদা
কাজী হাবিবুল আউয়াল
রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী ও শহিদুল হক
সাবেক ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ
সাবেক স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রধান মনিরুল ইসলাম
এনএসআই ও ডিজিএফআই-এর সাবেক প্রধান
বিএনপির ভাষ্য:
বিএনপির অভিযোগ, এই ব্যক্তিরা বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট কারচুপি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের দমন-পীড়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের মতে, এই কাজগুলো সুপরিকল্পিত ছিল এবং গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
পরিস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া:
এই মামলার ভিত্তিতে একাধিক সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার গ্রেপ্তার দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। গ্রেপ্তার ও মামলাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধীদের মধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।
