বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙ্গে যায়, প্রিন্স

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, একটি দল অহেতুক জাতীয় নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি করছে। বিএনপির ছত্রছায়ায় রাজনীতি করলেও এখন বিএনপিকে ল্যাং মারতে সচেষ্ট। জনগণ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ১৫ বছর আন্দোলন বা জুলাই অগস্টে রক্ত দেয় নাই। বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে গণতন্ত্রের ক্ষতি করলে জনগণ ক্ষমা করবে না। বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙ্গে যায়।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকালে মহান মে দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহ রেলওয়ে ষ্টেশনে কৃষ্ণচড়া চত্বরে জেলা জেলা শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, নির্বাচিত শাসন ছাড়া শ্রমজীবী মানূষের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা তাদের সমস্যার সমাধান হবে না। বিগত ১৫ বছর হাসিনার ফ্যসিবাদ বিরোধী আন্দোলনসহ জুলাই আগস্টের গণ অভুত্থানে শ্রমজীবী মানূষের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণ অভুত্থানে শ্রমজীবী মানূষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বিএনপি কাজ করবে।
সমাবেশে প্রিন্স অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণার আহবান জানিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি সমর্থন করছে। কিন্তু নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগন অধৈর্য হয়ে পড়লে বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে নামতে দ্বিধা করবে না।
শ্রমিক সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপি শ্রমিক কৃষক মেহনতি বান্ধব রাজনৈতিক দল। বিএনপি মেহনতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে রাজনীতি করে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান নিজেকে শ্রমিক পরিচয় দিতে গর্ব করতেন। সে পরিচয়ে আমরাও গর্বিত, অমরা একজন শ্রমিকের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের কর্মী। আমরাও শ্রমিক।
তিনি আরও বলেন, জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার পরিচালনার সুযোগ পেলে সর্বনিম্ন মজুরি ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়ণ করবে।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মফিদুল হক মোহনসহ প্রমুখ।
সমাবেশের পর একটি র্যালি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কৃষ্ণচুরা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে একই মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।