টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র মুক্তি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন

টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি সোমবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে যান।
টাঙ্গাইলের জেল সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গোপালপুর উপজেলায় এক বিএনপি নেতার বাড়িতে ২০০৯ সালে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের মামলায় শহিদুর উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। রোববার সন্ধ্যায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কারাগারে জামিনের আদেশনামা আসে। পরে সোমবার সকালে সহিদুর কারাগার থেকে মুক্তি পান। সহিদুরের বাবা আতাউর রহমান খান ও বড় ভাই আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল -৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য।
আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পন করেন। তারপর মাঝে দুই দফায় কয়েক সপ্তাহ জামিনে ছিলেন। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২৮ আগস্ট জামিন পেয়ে মুক্তি লাভ করেন। গত ১ নভেম্বর টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে যাওয়ার পথে সহিদুরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ২০২১ সালে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হকের উপর হামলার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর ২০০৯ সালে গোপালপুরে বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে এক বিএনপি নেতা সহিদুরসহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের আসামী করে গত নভেম্বরে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে সহিদুরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সহিদুর কারাগারে থাকাকালে গত ২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চাঞ্চল্যকর ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষনা হয়। ওই মামলা থেকে সহিদুর ও তার অপর তিন ভাই বেকসুর খালাস পান।
প্রসঙ্গত,২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামক দুইজনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে আওয়ামী দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ওরফে রানা, তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার নাম বের হয়ে আসে।