নোয়াখালীতে মেঘনায় যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবি, অল্পের জন্য রক্ষা পেল ২৮ জন

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন স্পিডবোটে থাকা ২৮ জন যাত্রী। হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সোমবার (২৩ জুন) বিকেল ৫টার দিকে হাতিয়ার বৌ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হরনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাটগামী একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোটে ২৮ জন যাত্রী ছিলেন। স্পিডবোটটি মেঘনা নদী পেরিয়ে নলচিরা ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ প্রবল স্রোতের তোড়ে পড়ে। এতে বোটটির তলা ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করে।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে চালক দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বোটটিকে এক পাশে করে যাত্রীদের নদীর তীরে নামিয়ে দেন। যাত্রীদের অনেকেই সাঁতার কেটে নিরাপদে তীরে পৌঁছান। স্থানীয় লোকজনও দ্রুত এগিয়ে এসে উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন।
নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিষ চন্দ্র সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “চেয়ারম্যান ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোট বৌ বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে তলা ফেটে ডুবে যায়। তবে চালকের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা ও স্থানীয়দের সহায়তায় ২৮ জন যাত্রী নিরাপদে তীরে উঠে আসেন। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।” স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বেশিরভাগ স্পিডবোটেই পুরনো কাঠামো ও অরক্ষিত অংশ থাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। তারা দ্রুত নদীপথে চলাচলকারী নৌযানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে একটি প্রাথমিক কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট স্পিডবোটটির নৌযান নিবন্ধন, ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্সসহ অন্যান্য দিক যাচাই করা হবে। এ ঘটনার পর হাতিয়ার অভ্যন্তরীণ নদীপথে যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এই ঘটনার পর যাত্রীদের সচেতনতা ও নৌযানের মান নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করার দাবি উঠেছে।