চাটমোহরে দীর্ঘমেয়াদী ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের জন্য অনুর্ধ্ব-১৭ খেলোয়ার বাছাই

পাবনার চাটমোহরে শুরু হতে যাচ্ছে অনুর্ধ্ব-১৭ খেলোয়ারদের দীর্ঘমেয়াদী ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। সেই লক্ষ্যে আনন্দঘন আর উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্বোধন করা হলো খেলোয়ার যাচাই বাছাই কার্যক্রম।
বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে চাটমোহর বালুচর খেলার মাঠে খেলোয়ার যাচাই বাছাই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক স্ট্রাইকার এনামুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী।
চাটমোহর উপজেলা প্রশাসন ও চাটমোহর পৌরসভার উদ্যোগে এবং চাটমোহর স্পোর্টস একাডেমীর তত্ত্বাবধানে খেলোয়ার যাচাই বাছাই করেন, অনুর্ধ্ব ২০ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক গোলকিপার প্রশিক্ষক রতন আলী, ঢাকার মুগদা সমাজকল্যাণ ক্রিয়া সংসদের প্রধান কোচ শিপন, জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় শমসের আলম।
এ সময় তাদের সহযোগিতা করেন, স্থানীয় প্রাক্তন খেলোয়াড় আশরাফুল আলম হেলাল, তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল, আব্দুল বারি ওরফে বারি গুরু, আব্দুস সালাম, আরমান, আনোয়ার, রবিউল করিম, গোলাম ইয়াছিন, সুজন সহ অনেকে।
আয়োজকরা জানান, ৮ থেকে ১২ বছর, ১৩ থেকে ১৪ বছর এবং ১৫ থেকে ১৭ বছর এই তিনটি ক্যাটাগরিতে খেলোয়ার যাচাই বাছাই করা হয়। প্রশিক্ষণের সুযোগ লাভ করতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে চারশ’ জন ক্ষুদে খেলোয়ার যাচাই বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করে। চূড়ান্ত বাছাই শেষে মোট ৯৫ জন প্রশিক্ষণের সুযোগ লাভ করে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ৮ থেকে ১২ বছর ক্যাটাগরিতে ২৫ জন, ১৩ থেকে ১৪ বছর ক্যাটাগরিতে ৩৪ জন এবং ১৫ থেকে ১৭ বছর ক্যাটাগরিতে ৩১ জন এবং ৫ জন গোলরক্ষক উত্তীর্ণ হয়।
চাটমোহর স্পোর্টস একাডেমীর আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল জানান, ‘বর্তমান সময়ে শিশু কিশোররা মোবাইলে আসক্তি বাড়ছে, কিশোর গ্যাং আর মাদকে জড়িয়ে পড়ছে। সেখান থেকে তাদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদি আমরা তাদের ঠিকমতো প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলতে পারি তাহলে এখান থেকে বাংলাদেশ ফুটবলের আগামীর তারকা বেরিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি।’
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, উপজেলার তরুণ ও ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড়দের খেলার মান উন্নয়ন ও খেলাধুলার প্রতি আরও আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই দীর্ঘমেয়াদী ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাছাই পর্বে উত্তীর্ণরা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করবে। আগামী ১ জুলাই থেকে মূল প্রশিক্ষণ শুরু হবে। আপাতত দুই মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ চলবে। পরে সময় আরো বাড়ানো হতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক স্ট্রাইকার এনামুল হক বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সারাদেশের গ্রামগঞ্জে, শহরে যেসব ক্রীড়া সংগঠকরা আছেন তারা যেভাবে দেশের ক্রীড়া অঙ্গনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে তা সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এভাবে খেলোয়ার খুঁজে বের করা ও তাদের আবাসিক ক্যাম্পে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেখভাল করা বড় একটি কাজ। এর মাধ্যমে দেশের জন্য অনেক সুনামধন্য ও মানসম্পন্ন খেলোয়ার তৈরী হবে।’