১৮ বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসর: ‘সাহসী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’ বলছেন শিশির মনির

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ১৮ বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী ও যুগান্তকারী’ বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান ও ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, “১৮ জন বিচারককে অবসরে পাঠানো হয়েছে—এটা একটি যুগান্তকারী সাহসী সিদ্ধান্ত। অনেক বড় সংস্কার। সকলের জন্যই শিক্ষা আছে। সাধু সাবধান!”
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব বিচারককে অবসরে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জনস্বার্থে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।”
অবসরে পাঠানো বিচারকদের মধ্যে রয়েছেন—
বিকাশ কুমার সাহা, শেখ মফিজুর রহমান, মো. মাহবুবার রহমান সরকার, শেখ গোলাম মাহবুব, মো. মজিবুর রহমান, মো. এহসানুল হক, মো. জুয়েল রানা, মো. মনির কামাল, সহিদুল ইসলাম, আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর, মো. নাজিমুদ্দৌলা, এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ফজলে এলাহী ভূঁইয়া, আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান, মো. রুস্তম আলী, মো. নুরুল ইসলাম, এ কে এম এনামুল করিম ও মোহাম্মদ হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সব সুবিধা পাবেন এবং আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সরকারি একাধিক সূত্র ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের মতে, যাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নানা সময় দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং শেখ হাসিনার সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনার একদিন আগে, গত বুধবার (৯ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে তাদের অপসারণ দাবি করে। পরদিনই আসে সরকারের এই সিদ্ধান্ত।