ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থীকে বিশাল গনসংবর্ধনা : জামায়াতে ইসলামীর ৫ কর্মী বিএনপিতে যোগদান!
ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমকে বিশাল গনসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর মাথা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই গনসংবর্ধনা প্রদান করেন দৌলতখান উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে গনসংবর্ধনা শুরুর আগে ভোলা-২ আসনের বিএনপির মনোনিত প্রার্থীর গনসংবর্ধনা দেওয়ার জন্য দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ফেস্টুন, ব্যানার ও পোস্টাল নিয়ে দলে দলে সমাবেশ স্থলে আসেন নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানে দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৯, ৭, ৫ ওয়ার্ডের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৫ কর্মী ভোলা-২ আসনের বিএনপির মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করেন। এরা হলেন, সেয়দপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো: মোতাছিন বিল্লাহ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাকসুদ উল্ল্যাহ, নুরে আলম ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হিরো শিকদার ও মো: দুলাল।
অনুষ্ঠানে ভোলা-২ আসনের বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছিলো সন্ত্রাস ও মাদকের জনপদ। তিনি আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য হলে তার প্রধান কাজই গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কলকারখানা তৈরি করে বেকারত্ব দূর করবো, বিগত ১৭ বছরে সন্ত্রাসের জনপদ তৈরি হওয়া এই উপজেলা থেকে সন্ত্রাস ও মাদকে নির্মল করা হবে। এছাড়াও বিগত দিনে সকল আন্দোলনে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের শহীদ হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবারের পাশে থাকবো আমরা।
তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্ট না হলে জিয়া পরিবার মুক্ত হতে পারতো কিনা আমার জানা নেই। ৫ আগস্টের কারণেই আজকে হয়তো বাংলাদেশের এ অবস্থায় আসতে পারছে। এ অবস্থাকে ধরে রাখতে হলে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আর তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হলে ধানের শীষ কে বিজয়ী করতে হবে। একটি দল এক সময় আমাদের সহযোগী ছিল এখন তারা আমাদের প্রতিপক্ষ। তারা যে মৌওদুদী ইসলাম কায়েম করতে চায় আমরা সেই ইসলাম চাই না। আমরা মদিনার ইসলাম চাই।
তার আপন ছোট ভাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিষয়ে বলেন, ৫ আগস্ট এর কারণেই ১৭ বছর জেল খাটার পর আমি আমার ভাইকে ফিরে পেয়েছি। তা না হলে হয়তো আমি আমার ভাইকে ফিরে পেতাম না।
দৌলতখাণ উপজেলা বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে গনসংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব আলহাজ্ব রাইসুল আলম, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক শফিউর রহমান কিরণ, হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান, ফজলুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, হুমায়ুন কবির সোপান। ভোলার সদর উপজেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব আসিফ আলতাফ, দৌলতখান উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নেতা শামসুল ইসলাম।


