শসার যত গুণ: ওজন কমানো থেকে ত্বকের যত্নে সবখানেই কার্যকর

বছরজুড়েই বাজারে সহজলভ্য একটি সবজি শসা। এতে রয়েছে প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি। এই শীতল, সতেজ ও পুষ্টিকর সবজি শুধু শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেট রাখে না, ত্বকের পরিচর্যা, হজম, এমনকি ওজন নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কার্যকর।
শসায় রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি৬, ফলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং সিলিকা—যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক শসার নানা উপকারিতা:
১. শরীরকে হাইড্রেট করে
শসায় উচ্চমাত্রার পানি থাকায় এটি শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে এবং টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে কাজ করে শরীরকে রাখে ভেতর থেকে পরিষ্কার।
২. ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখে
পটাসিয়াম ও ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ শসা চোখের নিচের ফোলাভাব ও কালচে দাগ কমাতে কার্যকর। ত্বকে শসার রস লাগালে তা সতেজ ও কোমল হয়। চোখের ওপর শসার টুকরো রাখলে বলিরেখা ও ক্লান্তি দূর হয়।
৩. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, মাড়িকে করে শক্ত
শসার একটি টুকরো মুখের তালুতে ৩০ সেকেন্ড রাখলে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়। আয়ুর্বেদ মতে, শসা দেহের অভ্যন্তরীণ তাপ কমিয়ে মুখের দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দুর্বল মাড়ি ও পাইরিয়া চিকিৎসায়ও উপকারী।
৪. হজমে সহায়ক
শসায় থাকা ফাইবার ও পানি হজমে সহায়তা করে। এর খোসায় থাকা অদ্রবণীয় আঁশ পরিপাকতন্ত্রে মসৃণভাবে খাবার চলাচলে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রাইটিস, বুকজ্বালা, অ্যাসিডিটি, আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরসনে উপকারী।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
শসায় থাকা পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ডিউরেটিক হিসেবেও কাজ করে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করে।
৬. ওজন কমাতে সহায়ক
শসা খুবই কম ক্যালোরির খাবার (প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ১৬ ক্যালরি)। তাই এটি পেট ভরায়, কিন্তু বাড়ায় না ক্যালোরি। ফলে যারা ডায়েট করছেন, তাদের জন্য শসা একটি আদর্শ খাদ্য।
দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় শসা অন্তর্ভুক্ত করলে তা শুধু শরীরকে হাইড্রেট রাখবে না, বরং ত্বক ও হজমের উন্নতিসহ সামগ্রিক সুস্থতায় বড় ভূমিকা রাখবে। গরমে শসা হতে পারে একটি সহজ ও স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ।