পুষ্টিগুণে ভরা চিচিঙ্গা: সহজ রান্নায় স্বাস্থ্যের সঙ্গী

চিচিঙ্গা অনেকেই খাবার তালিকায় রাখতে চান না। তবে স্বাদ ও পুষ্টিতে এই সবজির জুড়ি নেই। সহজপাচ্য, হালকা ও তেল-মসলাবিহীন রান্না উপযোগী হওয়ায় গরমের দিনে কিংবা হজমজনিত সমস্যা থাকলে চিচিঙ্গা হতে পারে স্বাস্থ্যকর এক উপায়।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, চিচিঙ্গায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ই, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আঁশ। রয়েছে জলীয় অংশও, যা পানিশূন্যতা রোধে সাহায্য করে। তিনি বলেন, “ডায়াবেটিস, কিডনি বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্যও চিচিঙ্গা উপকারী। ওজন নিয়ন্ত্রণেও এটি কার্যকর।”
চিচিঙ্গা খেলে যা উপকার পাবেন:
১. প্রদাহ কমায়: শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
২. বয়সজনিত জটিলতা রোধে সহায়ক: এতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বয়সজনিত ক্ষয় কমায়।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম কমায়: আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় হজমশক্তি বাড়ায়।
৪. শরীর ঠান্ডা রাখে: জলীয় অংশ গরমে আরাম দেয় এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে কীভাবে রান্না করবেন:
১. খোসা পাতলা করে ছাড়িয়ে নিন, বেশি গাঢ়ভাবে না।
২. খুব ছোট করে কেটে রান্না করবেন না, এতে পুষ্টি কমে যায়।
৩. ঢেকে এবং হালকা আঁচে রান্না করুন, বেশি সময় না।
৪. সবুজ রঙটা যেন রান্নার পরও থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখুন।
রান্নার কিছু স্বাস্থ্যকর উপায়:
১. কেবল পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ দিয়েও রান্না করা যায় চিচিঙ্গা।
২. ডিম দিয়ে ভাজি করে খাওয়া যায়—নাশতা বা রাতের খাবারের জন্য ভালো।
৩. হালকা ভাপে সাঁতলে কিংবা তেলে বাগাড় দিয়ে রান্না করতে পারেন।
৪. চিংড়ি বা ছোট মাছ দিয়েও চিচিঙ্গার পদ সুস্বাদু হয়।
৫. শিশুদের জন্য নুডলস বা পাকোড়ায় মিশিয়ে দিতে পারেন।
দুপুরে বড় পরিমাণে সবজি প্রয়োজন হয় বলে কেবল চিচিঙ্গা দিয়ে পদ বানানো তুলনামূলক কম সাশ্রয়ী। তাই অন্যান্য সবজির সঙ্গে চিচিঙ্গা রান্না করাও ভালো পদ্ধতি হতে পারে।
সঠিকভাবে রান্না করলে চিচিঙ্গা হতে পারে আপনার পুষ্টির সহজ উৎস—খাদ্য তালিকায় রাখার মতো একটি সবজি