বাগেরহাটে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৬টি ককটেল উদ্ধার, আটক ১৮

বাগেরহাটে যৌথবাহিনীর অভিযানে ককটেল বোমাসহ শ্রমিকদলের ১৮ নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার হযরত খানজাহান (রহ.)-এর মাজার মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে ৬টি ককটেল বোমাসহ তাদের আটক করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাট সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার মন্ডল বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কাসেম সেলিম ভূঁইয়া, তার ছেলে মোস্তফা কামাল সাব্বির ভূঁইয়া, ছোট ভাই মো. আজিম ভূঁইয়া, মো. সাগর হাসান, তুফান হাওলাদার, মো. মনি হাওলাদার, মো. নাইম মোল্লা, আরিফ হাওলাদার, রাজু মোল্লা, শাকিব আহম্মেদ রাজ, মো. সাজিদ, নিমাই সরকার, সিরাজুল শেখ, মো. মাশুক, মো. মিলন শিকদার, রবিউল সরদার, মো. ইয়াসিন আরাফাত ও মো. শাহীন ওরফে অভি শেখ। তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি, নাগেরবাজার ও আশপাশের এলাকায়। এরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক।
আবুল কাসেম সেলিম ভূঁইয়া ওরফে সেলিম ভূঁইয়ার ভাই আজিম ভূঁইয়াও শ্রমিক দল নেতা হিসেবে স্থানীয়দের মাঝে পরিচিত। তবে তাঁর দলীয় পদ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গেল মার্চে বাগেরহাট পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি জসিম সরদারকে কুপিয়ে আহত করার মামলারও এজাহারনামীয় আসামী তাঁরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাজার মোড়ে হোটেল জারিফে (আবাসিক) সেনাবাহিনীর একটি দল কয়েকজন দুস্কৃতিকারীকে ককটেল বোমাসহ আটক করে এবং ২-৩জন অজ্ঞাতনামা আসামি পালিয়ে যায়। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আসামিদের হেফাজতে নেয় এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক জব্দকৃত অবিস্ফোরিত ককটেল বোমা জব্দ তালিকা মূলে হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে এলাকায় আধিপত্য ও দখলবাজির উদ্দেশ্যে ওই হোটেলে ককটেল স্বাদৃশ্য বোমা নিয়ে গোপন বৈঠক করছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র বলছে, শহরে যুবদল নেতার উপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীরা এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। উচ্চ আদালত থেকে ওই মামলায় জামিন নিয়ে তারা শহরতলীর ওই হোটেলে এসে ওঠেন। আজ মঙ্গলবার বড় ধরণের শো-ডাউন (লোক সমাগম) করে শহরে প্রবেশের জন্য তারা ওই হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, শহরে আধিপত্য বিস্তার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে হয়রত খানজাহান (রহ.)-এর মাজার মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে গোপন বৈঠককালে ১৮ জনকে আটক করে সেনাবাহিনী। তাদের কাছ থেকে ৬টি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে।