‘এনসিপি বুঝে না বুঝে আরেকটি মওদুদীবাদী প্রক্সি দলে পরিণত হচ্ছে’ — রাশেদ খান
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, “এনসিপি বুঝে না বুঝে আরেকটি মওদুদীবাদী প্রক্সি দল হয়ে উঠছে।” বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি লেখেন, “জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে একই দিনে ভোট—হ্যাঁ। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট—না।”
রাশেদ খান বলেন, "জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে দলগুলোর সামনে প্রস্তাবনা হাজির করে যে এক্সপার্টরা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে মত দিয়েছেন, সেখানে শুধু জামায়াত বাদে সব দল একমত হয়। এমনকি এনসিপিও সেই অবস্থানে ছিল, কিন্তু পরদিনই তারা মত পরিবর্তন করে। এরপর থেকেই জামায়াত ও এনসিপির একই অবস্থানে যাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। "
তার দাবি, “জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির সম্পর্ক আছে—এটা যাতে প্রকাশ না পায়, সে জন্য তারা সম্পর্ক গোপন রাখতে চায়। নিজেদের আলাদা দল হিসেবে দেখাতে এনসিপি জামায়াতের সমালোচনায় যায়, যা আসলে পিআর কৌশল।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াত যা করতে পারে না, তা এনসিপিকে দিয়ে করায়। এনসিপির মধ্যে জামায়াত-শিবিরের যেসব নিয়োগ আছে, তারা নাহিদ ইসলামদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এই নিয়োগ নীতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণ অধিকার পরিষদ ও এনসিপি।”
রাশেদ উল্লেখ করেন, “তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কিছুদিন আগে পোস্ট দিয়েছিলেন—‘নতুন করে আরেকটি মওদুদীবাদী প্রক্সি দলের দরকার নেই।’ এনসিপি এখন বুঝে না বুঝেই সেই অবস্থানে চলে যাচ্ছে। এতে তাদের নিজস্ব কোনো রাজনীতি তৈরি হচ্ছে না।”
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে রাশেদ বলেন, “১৪ মাসেও সরকার নিজের ফিটনেস তৈরি করতে পারেনি। হাতে মাত্র চার মাস বাকি, এখন দুইটি নির্বাচন করা সম্ভব নয়। নভেম্বরে গণভোটের প্রসঙ্গ তুলে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে, যার সুফল পাবে আওয়ামী লীগ। ঐকমত্য কমিশন জামায়াত ও এনসিপি বাদে সব দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে—আরেকটি ১/১১ অনিবার্য করা হচ্ছে।”


