৫০ মিনিট ধরে ফোনে কী কথা বললেন পুতিন-ট্রাম্প

ইরান-ইসরাইল সংঘাত ঘিরে চলমান উত্তেজনা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে টেলিফোনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। শনিবার (১৪ মে) তাদের মধ্যে দীর্ঘ প্রায় ৫০ মিনিট আলোচনা হয়। ওই সময় ইরানে দখলদার ইসরাইলের চালানো হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের বিদেশি নীতি বিষয়ক কর্মকর্তা ইউরি উশাকোভ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইরানে ইসরাইলের চালানো হামলার নিন্দা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে আবারও আলোচনায় ফেরা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর পাশাপাশি তাদের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়। পুতিন জানিয়েছেন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে তিনি সহায়তা করতে প্রস্তুত আছেন।
ক্রেমলিনের শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি দেশটির সংবাদ সংস্থাগুলোকে জানান, পুতিন ফোনালাপে ইরানের ওপর ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানান। উভয় নেতা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
তিনি আরও বলেন, দুই নেতার মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিট ধরে কথা হয় এবং আলোচনাকে ‘অর্থবহ ও উপকারী’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
এদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আলোচনা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক অবস্থান ও ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সমন্বয় নিয়ে নতুন ইঙ্গিত দিচ্ছে। এদিকে শুক্রবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের তেল আবিবে অবস্থানরত ক্রোয়েশিয়ান কনসাল ও তার স্ত্রী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গরদান গ্রলিচ রাডমান।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক বার্তায় বলেন, তেল আবিবে হামলার ঘটনায় আমাদের কনসাল ও তার স্ত্রী আহত হয়েছেন—এ খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তাদের বাসভবনে সরাসরি হামলা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের আঘাত গুরুতর নয়। বলেন, তাদের অবস্থা স্থিতিশীল এবং তারা প্রাণনাশের আশঙ্কামুক্ত।
রাডমান আরও জানান, তার মন্ত্রণালয় ইসরাইলে অবস্থিত ক্রোয়েশিয়ান দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।