ইসরাইলের গাজা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনা, সেনাবাহিনীর আপত্তি উপেক্ষা করছেন নেতানিয়াহু

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর স্পষ্ট আপত্তি এবং হামাসের হাতে জিম্মিদের জীবনহানির আশঙ্কা সত্ত্বেও গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গতকাল সোমবার (৪ আগস্ট) টাইমস অব ইসরাইল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের মন্ত্রিসভা বৈঠকে গাজা দখলের প্রস্তাব আনতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। যদিও তার এই সিদ্ধান্তে আইডিএফ (ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স)-এর অভ্যন্তরে বিরোধ রয়েছে।
নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানায়, "সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত—আমরা গাজা পুরোপুরি দখল করতে যাচ্ছি। জিম্মিদের যেসব এলাকায় রাখা হয়েছে, সেগুলোতেও অভিযান চলবে। যদি সেনাপ্রধান এতে সম্মত না হন, তাহলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।”
বর্তমানে ইসরাইলি বাহিনী গাজার প্রায় ৭৫ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকি অংশ দখলের লক্ষ্যেই এ পরিকল্পনা। তবে আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন। সেনাবাহিনীর মতে:
গাজায় হামাসের বিস্তৃত সুড়ঙ্গ ও অবকাঠামো রয়েছে, যার ফলে অভিযান বহু বছর ধরে চলতে পারে।
জিম্মিদের মুক্তি বিপন্ন হতে পারে, এমনকি তারা প্রাণ হারাতেও পারেন।
নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি মন্ত্রিসভার পরবর্তী বৈঠকে গাজা যুদ্ধ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তিনি হয়তো সেনাবাহিনীকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলবেন—জিম্মি মুক্তির আলোচনার অগ্রগতির জন্য।
ইসরাইলের এই সম্ভাব্য পদক্ষেপে গাজার লাখো বেসামরিক নাগরিক এবং মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আরও বিপর্যস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।