জুলাই গণঅভ্যুত্থান: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শুনানি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানির দ্বিতীয় দিন সোমবার (৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ শুনানি গ্রহণ করছেন।
অপর দুই আসামি হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় খরচে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের পক্ষে সোমবার শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কারণ, মামলার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও সমন জারির পরও তাঁরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হননি এবং বর্তমানে পলাতক হিসেবে বিবেচিত।
এই মামলায় গ্রেফতার একমাত্র আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সোমবার সকালে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গত ১ জুলাই মামলার প্রথম দিনের শুনানি টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, যা দেশজুড়ে নজর কাড়ে। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ উপস্থাপন করলেও আসামিপক্ষ কোনো বক্তব্য উপস্থাপন করেনি।
প্রসিকিউশন সূত্র জানায়, অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (চার্জ) গৃহীত হলে জুলাইয়ের শেষ ভাগে অথবা আগস্টের শুরুতেই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হতে পারে।
এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তৎকালীন আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২5 সালের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান দমন করতে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড, গুম, আটক ও নির্যাতন।
রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, অভিযুক্তরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেসামরিক জনগণের ওপর সহিংস দমন-পীড়ন চালিয়েছেন, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায় পড়ে।