বৈষম্য বিরোধী কেন্দ্রীয় নেতার উপর বিএনপির হামলা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীর হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবু।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে স্থানীয় গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবু চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াই টুপি ইউনিয়নের সুজায়েতপুর গ্রামের মোঃ মুসা খাঁনের ছেলে। তিনি বর্তমান জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মেহেদী হাসান খান বাবু বলেন, আমাদের আত্মীয়র মাঝে জমিজায়গা ভাগাভাগি নিয়ে আজ শাহপুর ক্যাম্পে গিয়েছিলাম। আমাদের অপজিট পার্টি গড়াই টুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম নেতৃত্বে ১৬/১৭ জন নিয়ে যায় এবং আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির বেশ কিছুজন উপস্থিত থাকে তাদের আমি চিনি না। এক পর্যায়ে আমার রিলেটিভ যে ১৬/১৭ জন বিএনপির নেতৃবৃন্দের নিয়ে যায় তারা আমার উপরে চড়াও হয় তখন শাহপুর ফাড়ির টুআইসি মামুন বলেন আপনাদের এ বিষয় নিয়ে সমাধান করবো না আপনারা যে যার মত বাসায় চলে যান।যখন বাসার উদ্দেশ্য বের হয় তখন গড়াই টুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম আমাকে বলেন সমন্বয়ক চুদাস এ কথা বলেই ওর পোলাপানসহ সে নিজেও আমার উপর হামলা শুরু করেন। তখন ফাঁড়ি আইসি, টু আইসি, কনস্টেবল ঠেকিয়ে পারছে না, উনার ফাঁড়ির মধ্যে আছে তিন/চার জনের মত আর বহিরাগতরা আছে ১৬/১৭ জনের মত তখন ফাঁড়ি টুআইসি আমাকে ফাঁড়ির মধ্যে যে রুম গুলো আছে সেখানে নিয়ে যায়। তখন তারা আমাকে বলে বাইরে বের হ তোকে খুন করে ফেলবো।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ৫ বিঘা একটি জলাকার নিয়ে আমাদের সাথে খালুর বিরোধ চলে আসছিল। পরবর্তীতে গতকাল মঙ্গলবার আমরা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ওই জলাকার আমাদের পক্ষে রায় দেন। এরপর আমরা দখল করতে গেলে আবুজার মোল্লা বাধা দেয়। পরবর্তীতে শাহাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মেহেদী হাসান সমঝোতার জন্য বুধবার উভয় পক্ষের ক্যাম্পে আসতে বলে। আমরা ক্যাম্পে আসি। উভয় পক্ষের কথাবার্তার এক পর্যায়ে আবুজার মোল্লা তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন, ছেলে ওসমান গনি, মৃত ছাত্তার মন্ডলের পুত্র আব্দুল আলিম, গড়াই টুপি ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সহ ১৬/১৭জন আমার উপর হামলা চালায়। আমি ইতিমধ্যে আমার দলীয় লোকজনের সাথে কথা বলেছি সেই সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তীতে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
অভিযুক্ত গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির টুআইসি সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমরা বসেছিলাম। সেটা সমাধানও হয়েছে। বাবু ভাইদের দলিলপত্র সবই ঠিক আছে। যখন বাবু ভাইরা চলে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ কিছু বেয়াদব এসে তাকে কিলঘুষি মারে।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন বিশ্বাস বলেন,' বিষয়টি জমিসংক্রান্ত ও পারিবারিক। ক্যাম্পে বিষয়টি মীমাংসা করে কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক বাবুকে পুলিশ নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছেন। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।