আন্তর্জাতিক এআই উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার ফাইনালে পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থী

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তিন শিক্ষার্থী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা IEEE YESIS 12-2025 এর চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন। মালয়েশিয়ার কেবাংসান বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২৩ ও ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য এই ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেবেন তারা।
বিশ্বের এক হাজারেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত প্রতিযোগিতার অন্যতম লক্ষ্য— সামাজিক সমস্যার টেকসই ও প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান উপস্থাপন। ‘ইন্টেলিজেন্স সেফগার্ড’ শিরোনামে জমা দেওয়া একটি স্মার্ট ক্রাইম ডিটেকশন ও ইমার্জেন্সি রেসপন্স সিস্টেম নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচারকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থী— মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, নাইমুর রহমান ও কর্ণেল আহমেদ রাহুল।
এই উদ্ভাবনী প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক সহকারী অধ্যাপক লিটন চন্দ্র পাল বলেন,প্রজেক্টটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় কণ্ঠ, ছবি, ভিডিও ও যানবাহনের নাম্বার প্লেট বিশ্লেষণ করে অপরাধ শনাক্ত করতে সক্ষম। এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নাগরিক নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে এবং অপরাধ দমন সহজ হবে।
এই অর্জনের জন্য তিন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামীম আহসান অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন,এই সাফল্য শুধু পাবিপ্রবির গর্বই নয়, বরং বাংলাদেশের মেধাবী তরুণদের বিশ্বমঞ্চে শক্ত অবস্থান জানান দেয়। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তি আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।
উল্লেখ্য, IEEE YESIS (Youth Endeavours for Social Innovation using Sustainable Technology) এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে টেকসই প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে তরুণ উদ্ভাবকরা প্রতিযোগিতা করে থাকেন।
এবারের ফাইনালে অংশগ্রহণ মানেই পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিশাল অর্জন, যা দেশের উচ্চশিক্ষা এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।