হামজাদের কোচিং স্টাফ বাড়ছে

জাতীয় ফুটবল দলের পারফরম্যান্স উন্নয়নে বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কোচিং স্টাফের সীমিত সংখ্যা। যেখানে সিঙ্গাপুর জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করছেন ১৯ জনের টেকনিক্যাল টিম, সেখানে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফ সংখ্যা মাত্র পাঁচজন। পাঁচজন ডাটা অ্যানালিস্ট ও চারজন সহকারী ফিজিও থাকা সিঙ্গাপুরের বিপরীতে বাংলাদেশের একজন মাত্র ফিজিও—যিনি একাই সামলান পুরো দলের ইনজুরি ও রিকভারি ব্যবস্থাপনা।
এই সীমাবদ্ধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল। শনিবার (১৫ জুন) ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “একজন ফিজিও দিয়ে কি ১৮ জন খেলোয়াড়কে সঠিকভাবে সহায়তা দেওয়া সম্ভব? একটা খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়লে কিংবা খেলার পরে ম্যাসাজ দরকার হয়। একজনের পক্ষে সব সামলানো দুরূহ।” তিনি আরও বলেন, “আমরা কোচিং স্টাফ, টেকনিক্যাল স্টাফ এবং অ্যাসিসট্যান্ট স্টাফ বাড়াব। যেন আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমরা আর পিছিয়ে না থাকি। এতে দলের গুণগত মান বাড়বে, সেই সঙ্গে র্যাঙ্কিংও উন্নত হবে।”
বাংলাদেশ দলের বর্তমান কোচিং স্টাফে রয়েছেন প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ও স্পেনের ডেভিড গোমেজ, গোলরক্ষক কোচ মিগুয়েল অ্যাংগেল এবং ফিটনেস কোচ পেলো। এ ছাড়া একমাত্র ফিজিও হিসেবে কাজ করছেন আবু সুফিয়ান সরকার। মাঠে ফুটবলার ইনজুরিতে পড়লে কিংবা খেলার পর শারীরিক রিকভারির জন্য তাকেই একাই দায়িত্ব নিতে হয়।
তাবিথ জানান, শুধু কোচিং স্টাফ বাড়ানোই নয়, প্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিক করতে চায় বাফুফে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে খেলোয়াড়দের তথ্য নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মোবাইল অ্যাপ চালুর পরিকল্পনা করছে তারা। একই সঙ্গে নতুন একটি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার শুরু হয়েছে, যার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ও দুর্বলতা বিশ্লেষণ করা হবে। ইতোমধ্যে ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ বিশ্লেষণে এই সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই বিশ্লেষণের ফল প্রকাশ করা হবে।
বাফুফে মনে করছে, এই প্রযুক্তি এবং কোচিং কাঠামোর উন্নয়ন দেশের ফুটবলে পেশাদারিত্ব বাড়াবে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত গড়ে তুলবে। ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এটি হতে পারে আশাব্যঞ্জক এক নতুন যাত্রা।