শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাচারের সময় বালুভর্তি ২টি মাহিন্দ্র গাড়ি আটক

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাচারের সময় বালুভর্তি দুটি মাহিন্দ্র গাড়ি আটক করেছে থানা পুলিশ। রোববার (১৫ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাঁকাকুড়া এলাকা থেকে গাড়ি দুটি আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল আজমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পশ্চিম বাঁকাকুড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় বালু পাচারের সময় দুটি মাহিন্দ্র আটক করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চালকরা গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়।
আটক করা হলেও গাড়ি থানায় আনা পুলিশ সদস্যদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ চালক না থাকায় মাহিন্দ্র দুটি থানায় নেওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে সময় লেগে যায়। সারারাত পাহারা দিয়ে সোমবার সকালে বিকল্প ব্যবস্থায় গাড়ি দুটি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, বাঁকাকুড়া এলাকায় বর্তমানে ৫০টিরও বেশি মাহিন্দ্র চলাচল করছে, যেগুলো মূলত অবৈধভাবে বালু ও পাথর সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই বালুবাহী যানবাহনের কারণে পরিবেশ ও রাস্তা দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশি পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ অভিযানে কোনো সহযোগিতা করেননি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল আজম বলেন, “আটককৃত মাহিন্দ্র দুটির বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, কংশা ইউনিয়নে চলমান অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং নিয়মিত অভিযান প্রয়োজন। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকলে বালু পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।