ভারতে প্লেন দুর্ঘটনা: প্রশ্নের মুখে এয়ার ইন্ডিয়ার সুরক্ষা

ভারতের সরকারি পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া গত ১৫ বছরে একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংস্থাটি তাদের নিরাপত্তা রেকর্ড উন্নত করার চেষ্টা করেছে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের (১২ জুন) আগে এয়ার ইন্ডিয়ার সবশেষ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০২০ সালে। সেসময় তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে অবতরণের সময় ছিটকে গিয়ে দুই ভাগ হয়ে যায়। এতে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় আবহাওয়া ছিল অত্যন্ত খারাপ এবং দৃষ্টিসীমাও ছিল কম।
এর এক দশক আগে ২০১০ সালে আরও ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি প্লেন। সেটি কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু শহরের বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে ছাড়িয়ে একটি ঢালে পড়ে আগুন ধরে যায়। ওই ঘটনায় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
২০০৯ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে মাত্র এক বছরের মধ্যে তিনটি ‘নিয়ার-মিস’ ঘটনা ঘটে, যা ভারতের দ্রুত সম্প্রসারিত বিমান পরিবহন খাতের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করে। একই সময় এয়ার ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও পেশাদারত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
একটি ঘটনায় দেখা যায়, পাইলট ও কেবিন ক্রুদের মধ্যে ঝগড়ার সময় একটি প্লেন কয়েক মিনিট ধরে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে আকাশে উড়ছিল। আরেকবার একটি পুরো উড়োজাহাজে ইঁদুর খোঁজার জন্য ফ্লাইট ১১ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে।
এ ঘটনাগুলো এয়ার ইন্ডিয়ার অতীত নিরাপত্তা রেকর্ডে কালো দাগ হয়ে রয়েছে, যদিও সংস্থাটি সম্প্রতি তাদের মানোন্নয়নের নানা উদ্যোগ নিয়েছে, বিশেষ করে টাটা গোষ্ঠীর মালিকানায় আসার পর। তবু ২০২৫ সালের ১২ জুন আহমেদাবাদ দুর্ঘটনা নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস