‘সাইয়ারা’ বদলে দিল অনিত পাড্ডার জীবন: বলিউডে উঠে আসছে নতুন উজ্জ্বল নাম

নতুন কোনো চলচ্চিত্র নয়, যেন এক পর্ব বদলের নাম ‘সাইয়ারা’। এই একটিমাত্র সিনেমাই রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে অনিত পাড্ডার ভাগ্য। মুক্তির আগে যাঁকে বলিউডের বাইরেও কেউ ঠিক চিনতেন না, সেই তরুণী আজ ইন্ডাস্ট্রির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দর্শক-সমালোচক থেকে শুরু করে সিনে তারকারা—সবাই বলছেন, বলিউড পেয়েছে এক নতুন সম্ভাবনার নাম।
‘সাইয়ারা’–র সাফল্য শুধু অনিতের ক্যারিয়ারে মোড় ঘুরিয়ে দেয়নি, বদলে দিয়েছে নির্মাতাদেরও ভাবনার রসদ। যশরাজ ফিল্মস ইতোমধ্যে অনিতের সঙ্গে তিনটি ছবির চুক্তি করেছে। পাশাপাশি তিনি চূড়ান্ত হয়েছেন ‘ন্যায়’ নামে একটি ওয়েব সিরিজে, যেখানে তিনি এক নির্যাতিত কিশোরীর চরিত্রে অভিনয় করবেন।
মাত্র একটি সিনেমা দিয়ে এমন দৃষ্টান্ত বলিউডে বিরল। গুটিকয়েক তারকাই পেয়েছেন এমন দুর্লভ অভিজ্ঞতা। অথচ অনিতের যাত্রা শুরু হয় ২০২২ সালে, ‘সালাম ভেঙ্কি’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্র দিয়ে, যা দর্শকদের তেমন মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি। এরপর ছোট পর্দায় কাজ করেন 'বিগ গার্লস ডোন্ট ক্রাই' ধারাবাহিকে, যেখানে তাঁর চরিত্র 'রুহি' দর্শকের মনে রেখাপাত করতে পারেনি।
তবুও থেমে থাকেননি। নিজের প্রতিভার উপর আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে গেছেন অনিত। সেই প্রচেষ্টারই ফল ‘সাইয়ারা’।
মোহিত সূরীর পরিচালনায় নির্মিত ‘সাইয়ারা’ সিনেমায় তিনি ছিলেন এক আনকোরা জুটির অংশ। ছবিটির বক্স অফিস সাফল্য আর অনিতের অভিনয় ইতোমধ্যেই তাঁকে এনে দিয়েছে ‘জাতীয় ক্রাশ’ উপাধি। তার সৌন্দর্য নয়, বরং চরিত্রের গভীরতায় মোহিত হয়েছেন দর্শকরা।
মাত্র ২২ বছর বয়সেই এমন সাফল্য অনেকের জন্য হিমশিম খাওয়ার মতো হলেও অনিত পাড্ডা নিজেকে রাখছেন সতর্ক আর সংযত। একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “এই সাফল্য আমার কাছে এক অদ্ভুত বিস্ময়। এটা আমাকে গর্বিত করছে, কিন্তু ভয়ও দেখাচ্ছে—নিজেকে প্রমাণ করার দায় এখন আরও বেশি।”
তাই এখনই চটজলদি সব অফারে সায় দিচ্ছেন না অনিত। খুঁজে নিচ্ছেন বৈচিত্র্যপূর্ণ গল্প আর চ্যালেঞ্জিং চরিত্র, যাতে করে নিজের অভিনয় দক্ষতাকে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।
‘কে এই অনিত পাড্ডা?’—এই প্রশ্নে এখন সরগরম সিনে মহল। তাঁর ক্যারিয়ারের প্রেক্ষাপট, পড়াশোনা, পরিবার এমনকি আঞ্চলিক পরিচয় নিয়েও কৌতূহল থামছে না। তবে জানা যাচ্ছে, অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল স্কুলজীবন থেকেই। থিয়েটার থেকে ওয়েব সিরিজ, আর ওয়েব সিরিজ থেকে হুট করেই সিনে জগতে।