চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ও ‘ওইনড’ ব্যান্ডের সদস্য এ কে রাতুল আর নেই

চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে এবং রক ব্যান্ড ‘ওইনড’-এর ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও শব্দ প্রকৌশলী এ কে রাতুল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে দেশের সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
গত শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর একটি জিমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রাতুল। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল চল্লিশের কোঠায়।
পরিবার জানিয়েছে, প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তার ছেলে রাতুল। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের পার্ক মসজিদে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এ কে রাতুল শুধু একজন গায়কই ছিলেন না, ছিলেন সংগীত প্রযোজনায়ও দক্ষ। দেশের রক সংগীতজগতে বিভিন্ন ব্যান্ডের জন্য তিনি তৈরি করেছেন একাধিক জনপ্রিয় অ্যালবাম। ব্যতিক্রমী শব্দ প্রকৌশল ও বাজনার জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড মিউজিক দুনিয়ায় রাতুলের ছিল আলাদা পরিচিতি।
নায়ক জসীমের তিন ছেলের মধ্যে রাতুল ছিলেন অন্যতম। যদিও তারা বাবার মতো অভিনয়ে আসেননি, তবু সবাই যুক্ত ছিলেন ব্যান্ড সংগীতের সঙ্গে। রাহুল ‘ট্রেনরেক’ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ‘পরাহো’র ড্রামার, রাতুল ও সামী যুক্ত ছিলেন ‘ওইনড’ ব্যান্ডে। রাতুল ছিলেন ব্যান্ডটির ভোকাল ও বেজিস্ট, সামী ড্রামার।
২০১৪ সালে ‘ওইনড’-এর প্রথম অ্যালবাম ‘1’ এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘2’ মুক্তি পায়, যা শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আন্ডারগ্রাউন্ড রক ঘরানায় ব্যান্ডটির নিজস্ব অবস্থান তৈরি হয়েছিল, যার পেছনে রাতুলের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মাত্র ৪৮ বছর বয়সে মারা যান রাতুলের বাবা, খলনায়ক থেকে নায়ক হয়ে ওঠা চিত্রতারকা জসীম। বাবার মতোই ভক্তদের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন রাতুল—বাংলাদেশের বিকল্প সংগীতধারার এক অনন্য প্রতিনিধি হিসেবে।