জুলাই শহীদদের স্মরণে ইবি ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন ও প্রতিবাদ

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
গত বুধবার (১৬ জুলাই) ‘জুলাই শহীদ দিবস’ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ৮টায় এ আয়োজন করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. গফুর গাজী, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ রশিদুজ্জামান। এছাড়াও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, “জুলাই-২৪ গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত-পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদের সুস্থতা কামনা করি। জুলাই চব্বিশের অবিনাশী চেতনা বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে মুছে যাবে না। পলাশীর যুদ্ধের যে আন্দোলন, তারপর বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, সত্তরের গণ আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং এর ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ের আন্দোলন এদের অবিনাশী চেতনা কখনো বাংলাদেশ থেকে মুছে যাওয়ার নয়।”
তিনি আরো বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কর্তৃক আয়োজিত আজকের মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে আমরা গোপালগঞ্জের ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার চাই। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, বাংলার দামাল ছেলেরা থামবে না। বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আমরা তাদের খুঁজে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো। এবং চব্বিশের জুলাইয়ের চেতনা বিরোধী— যে দলের, যে মতের লোকই হোক, আমরা তাদের প্রতিহত করবো। এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার পতনের ভূমিকায় থাকবে আমি আশা করি।”
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, “আমরা ১৬ জুলাইকে পালন করতে চাই এবং লালন করতে চাই। শহীদ আবু সাঈদ, ওয়াসিমসহ সকল শহীদদের রক্তের বিনিময়ে,আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পরিবর্তিত একটি বাংলাদেশ পেয়েছি। যে পরিবর্তিত বাংলাদেশে শেখ পরিবার পালিয়ে গেছে। ৫ আগস্ট, যাকে ৩৬ জুলাই বলে থাকি আমরা। এই ৩৬ জুলাই শেখ হাসিনা পলায়ন করেছিলো এবং বাংলাদেশের মানুষ সেদিন সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলাম।আমরা একে অপরের আত্মার সম্পর্ক যেন বজায় রাখি।”
সাহেদ আরো বলেন, “ গোপালগঞ্জে হাসিনার বাহিনী যে এনসিপির উপরে হামলা চালিয়েছে, আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা বাংলাদেশকে গড়তে চাই। আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা ছাত্রদলের কাছে অনুরোধ করবো যেন কাউকে বিশৃঙ্খলামূলক কথাবার্তা না বলা হয়। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের পাশে থাকবেন। জানাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে , আমাদের নেতা জনাব রাকিবের নেতৃত্বে এবং তাদের নির্দেশে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে চলবো। এবং আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা করবো না। এবং পাশাপাশি অন্য সংগঠন যারা আছে, তাদের প্রতিও আমাদের অনুরোধ থাকবে আমরা এই বাংলাদেশকে গড়ি। আমাদের মতের পার্থক্য থাকবে মানে এই নয়, যে আমরা একে অপরের শত্রু। আমাদের একমাত্র শত্রু শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ এবং দিল্লি। এর বাইরে আমাদের কোনো শত্রু নেই।”