একটা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সান্তোষ শর্মাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল: শফিকুল ইসলাম মাসুদ
 
                                        
                                    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি অনুষ্ঠানে দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সাবেক সম্পাদক সন্তোষ শর্মাকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, 'ওইটা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটা অনুষ্ঠান ছিল। উনি একটা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। সেই হিসেবে উনাকে দাওয়াত করা হয়েছিল।' বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জুবেরি ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'ওইদিন আমরা সাংবাদিক সম্মেলন করি নাই। ওইটা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটা অনুষ্ঠান ছিল। উনি একটা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। সেই হিসেবে উনাকে দাওয়াত করা হয়েছিল। একটা সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে অধস্তন কাউকে কি দাওয়াত দেওয়া যায়? আমরা তাকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাওয়াত দিয়েছিলাম। সুতরাং, তার অন্য আরও কি কি বিষয় আছে, সেগুলো ওইদিন আমাদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক ছিল।'
ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন সবসময় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চালু থাকা উচিত। এটা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায় আন্দোলনের একটা স্বীকৃত ন্যায্য প্লাটফর্ম। অন্তর্বর্তিকালীন বা, নিরপেক্ষ সরকারের সময় যেকোবো নির্বাচন নিরপেক্ষ করা সম্ভব হয়। কারণ আমাদের দেশে দলীয় সরকারের সময়ে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্বলতা কাজ করে বা, প্রভাব থাকে। এজন্য রাকসু নির্বাচনের জন্য এখনই যথোপযুক্ত সময় বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ছাত্রদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া রয়েছে। এগুলো এখন কে দেখবে? একেক জায়গা থেকে একেকজন কথা বলা শুরু করবে। এজন্য যখন ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব তৈরী হবে, তখন ছাত্রদের কথা বলার একটা প্লাটফর্ম থাকবে। আবার প্রশাসনের জন্যও এটা একটা সহজ প্রক্রিয়া হবে যে, সবার কথা শোনার পরিবর্তে ছাত্ররা যাদেরকে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিবে, তাদের থেকে কথাগুলো শুনে সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আয়োজনে 'ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশ' অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংগঠনটি। এর মধ্যে ছিলন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি দীনবন্ধু রায় ,জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল অনুপম বড়ুয়া, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা প্রমুখ।
 
            
 
                                                                    

 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        