‘মার্চ ফর গাজা’ মিছিল শেষে হোটেল-গার্মেন্টস-মিষ্টির দোকানে হামলা ও ভাঙচুর

‘মার্চ ফর গাজা’ র্যালি থেকে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে গাজীপুরে বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর এর ঘটনা ঘঠেছে। এসময় কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে কয়েকটি পোশাক কারখানায়ও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা কোনাবাড়ীতে বাটা শো-রুম, আজওয়া, পিজ্জা হল, আপেক্স, স্বপ্ন সুপার শপ, বিউটি সুইট মিটসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০টি দোকানে হামালা ও ভাঙচুর চালায়।
এক পর্যায়ে আবাসিক হোটেল রেইনবো ও মুনে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় রেইনবো হোটেল হামলা ভাঙচুরের পর আসবাবপত্র মহাসড়কে এনে অগ্নিসংযোগ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ‘মার্চ ফর গাজা’ এর প্রতি সংহতি জানিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, কালিয়াকৈর, টঙ্গী, বোর্ড বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে হাজার হাজার পোশাক শ্রমিকরা।
সকালে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে শান্তিপূর্ণ মিছিল করলেও বিকেলে কোনাবাড়ী এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেড, কনকর্ড নিটিং এন্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের মাইমুন ও মতিন গার্মেন্টস খোলা রাখায় ইসরায়েলি আগ্রাসান বিরোধী মিছিল থেকে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু মোহাম্মদ নাসের আল আমিন বলেন, বিকেলে কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে ইসরায়েলি আগ্রাসান বিরোধী মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কোনাবাড়ীতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবি জানিয়ে বেশ কিছু দোকান পাট ও শপিংমলে হামলা ও ভাঙচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এসময় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।