মাটির নিচে গ্যাসের হদিস! রান্নাবান্নায় ব্যস্ত গ্রামবাসী!
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পাইপ বসাতে গিয়ে মিলেছে গ্যাসের সন্ধান। ওই গ্যাস দিয়ে রান্নার কাজ চালাচ্ছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি উপজেলার রুপনারায়ন কুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিক ও জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন ধরে গ্যাস বের হলেও খোঁজ নেয়নি প্রশাসনের কেউ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে খবর পাঠানোসহ ভিডিও ফুটেজ পাঠালেও কোনো খোঁজ নেননি তিনি।
জানা গেছে, ওই গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মদ কয়েকদিন আগে পানীয় জলের জন্য সাব-মার্সিবল বোরিং শুরু করেন। ৪০ ফুট অতিক্রম করার পর মাটির গভীর থেকে চাপ দেখা দেয়। এ সময় বোরিংয়ের পাইপ বারবার উপর দিকে উঠে আসতে চায় এবং পাইপ দিয়ে উপচে পানি উঠতে থাকে। এতে মিস্ত্রিরা বোরিং করতে ব্যর্থ হয়ে প্রায় বিশ ফুট দূরে আরও একটি বোরিং শুরু করেন। কিন্তু এতেও ঘটে বিপত্তি। ফলে দ্বিতীয় বোরিংটির কাজ বন্ধ রেখে আরও প্রায় বিশ ফুট দূরত্বে তৃতীয় বোরিং শুরু করেন। এখানেও ঘটে বিপত্তি। বুদবুদ শব্দে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাপ অনুভব হয়, পাইপ উপরে উঠে আসতে চায় এবং ফিনকি দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। পরে বাড়ির পূর্বদিকে আরও একটি বোরিং সম্পন্ন করা হয় গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর)।
বাড়ির মালিক নূর মোহাম্মদ জানান, বোরিংয়ের গর্ত দিয়ে বুদবুদ শব্দে পানির সঙ্গে বাতাস বের হচ্ছে। এতে আগুন দিয়ে ভাত রান্না করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, "খাবার পানির জন্য বোরিং করতে গিয়ে পাওয়া গেছে গ্যাসের সন্ধান। ফলে পানীয় জলের ও বোরিংটি চতুর্থ বারের মতো স্থানান্তর করতে হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এ গ্যাসের চাপ নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। "
উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, "পশ্চিম গাছগড়া গ্রামে গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। তবে কি পরিমাণ গ্যাস মজুদ আছে তা নিরূপণ করতে সরকারি কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। "
ইউপি সদস্য হযরত আলী জানান, সাব-মার্সিবলের বোরিং থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। এর আগেও কয়েকবার এ এলাকায় বোরিং করতে গেলে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ সময় গ্যাসের মজুদ অনুসন্ধান করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং ভিডিও পাঠানো হয়েছে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে জনস্বাস্থ্যের প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, প্রাকৃতিক গ্যাসের কি পরিমাণ মজুদ রয়েছে বিষয়টি দেখেন পেট্রোবাংলা। তবে উন্মুক্ত জায়গায় মাটির নিচের আগুন দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এজন্য নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম।


