চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদপানে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় লাশ উত্তোলনের দিন জামিনে মুক্ত আটক দুই আসামি
 
                                        
                                    চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদপানে মারা যায় ৭ জন। এরপর ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। আটক করে এই বিষাক্ত মদ বিক্রির সাথে জড়িত দু'মাদক কারবারীকে।
এরপর আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা চারজনের মরদেহ আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চারটি গ্রামে উত্তোলন করা হয়।
এদিকে ঠিক আজ বিকেলে আটক দুই আসামির উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিষাক্ত মদ পান করার পর একে একে মারা যান ৭ জন। এ ঘটনার ১২ দিন পর আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বিষাক্ত মদে মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তবে জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্ন তুলেছে, এই মামলার দুই প্রধান আসামি, খেজুরা গ্রামের জুমাত আলী ও ঝিনাইদহের অ্যালকো ফারুক, উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে (২১ অক্টোবর) কারা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেলার ফখরুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৯ অক্টোবর রাতে ডিঙ্গেদহ এলাকায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বিষাক্ত মদ পান করে। এরপর শনিবার (১১ অক্টোবর) থেকে একে একে মোট ৭ জন মারা যায়। নিহতদের পরিবার শুরুতে তথ্য গোপন করে দ্রুত দাফন সম্পন্ন করলেও পরবর্তীতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
এ ঘটনায় পুলিশ গত ১৫ অক্টোবর জুমাত আলিকে এবং ১৬ অক্টোবর মেয়াদ উত্তীর্ণ স্পিরিটসহ ফারুক ওরফে অ্যালকো ফারুককে গ্রেফতার করেছিল।
এলাকায় যখন নিহতদের দাফন করা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হচ্ছে, ঠিক তখনই মাত্র ৫-৬ দিনের ব্যবধানে মামলার গুরুত্বপূর্ণ দুই আসামির জামিনে মুক্তি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচার কি আদৌ প্রতিষ্ঠা হবে?
এদিকে, পুলিশ বিষাক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণ খতিয়ে দেখছে এবং এই অবৈধ মদের উৎসের সন্ধানে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
 
            
 
                                                                    

 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                                                         
                                                        