জমিজমা বিরোধে দৌরাত্ম্য: লাঠি-দা নিয়ে হামলা, ২জন গুরুতর আহত
 
                                        
                                    তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেরহাট গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের আসলাম হাওলাদার বাড়িতে লিয়াকত (৫৫) গংদের সাথে অভিযুক্ত মোঃ হাফেজ (৫০) গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধ কে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ির সামনের পুকুর পাড়ে হাফেজ গংদের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন মোঃ লিয়াকত হোসেন ও মোঃ হারুন (৫০)। আহতরা ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ৭ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত লিয়াকত গংরা এই ঘটনায় ভোলা কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বর্ননা সূত্রে জানা যায়, মোঃ বাচ্চু মিয়া (৪৫) এর একটি গরু মোঃ লিয়াকত আলী এর নাড়ার পালা (খের) থেকে নাড়া খাইতে ছিল। তখন লিয়াকত হাফেজ কে ডাকিয়া তার গরু নিয়া যাবার জন্য অনুরোধ জানাইলে তারা লিয়াকত কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা শুরু করে। লিয়াকত প্রতিবাদ করিলে তারা ক্ষীপ্ত হইয়া মৃত মোঃ সোনা মিয়ার ছেলে মোঃ হাফেজ (৫০), মৃত মোঃ হাশেমের ছেলে মোঃ করিম (৩০), মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে মোঃ বাচ্চু মিয়া, মোঃ শাহে আলম (৪০), মোঃ লিটন (৩০), মোঃ মঞ্জু (৪০), মোঃ নোয়াব মিয়া, মোঃ মতিন সহ ১০/১৫ জন হাতে লাঠি সোটা, দা, লোহার রড ইত্যাদি নিয়া আসিয়া এলোপাথারী ভাবে লাথি ঘুসি ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। মোঃ করিম তার হাতে থাকা বগি দা দিয়া হত্যার উদ্দ্যেশ্যে লিয়াকত এর মাথার উপরে কোপ দেয়। যাহা বাম কাধে লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত হয়। হাফেজ এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দ্যেশ্যে লিয়াকত এর মাথার উপরে আঘাত করে, যাহা ডান হাত দিয়া ঠেকাইলে ডান হাতে লাগিয়া ডান হাতের কব্জির উপরের হাড় ভাঙ্গিয়া যায়। মোঃ বাচ্চু মিয়া তার হাতে থাকা লোহার সাবল দিয়া হত্যার উদ্দ্যেশ্যে মাথার উপরে আঘাত করে। যা বাম হাত দিয়া ঠেকাইলে বাম হাতে লাগিয়া বাম হাতের কব্জির উপরের হাড় ভাঙ্গিয়া যায়। তখন লিয়াকত জীবন রক্ষার্থে দৌড়াইয়া মোঃ হারুন এর বসতঘরের মধ্যে ঢুকে পরে। অভিযুক্তরা বসতঘরের মধ্যে ঢুকে তাহাকে এলোপাথারী কিল ঘুসি মারিতে থাকে। হারুন লিয়াকত কে বাচানোর চেষ্টা করিলে অভিযুক্তরা হারুন কে এলোপাথারী হামলা করে মাথা এবং হাতের আঙ্গুলে ফাটায় দেয়। হারুন এর স্ত্রী মোসাঃ রুমা স্বামী কে বাচাতে এগিয়ে আসলে লাথি ঘুসি মারিয়া তাহার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তাহার পরনের কাপড় টানা হেচড়া করিয়া খুলিয়া শ্রীলতাহানী করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফেজ এর মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তার মোবাইল টি বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
 
            
 
                                                                    

 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                                                         
                                                        