বাগেরহাটে “গো গ্রীন, গো বিয়ন্ড” ৬৪ দিনে ৬৪ জেলায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি শুরু!
 
                                        
                                    বাগেরহাটে বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন-টোয়াব-র পক্ষ থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ কমপ্লেক্সে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট)দুপুরে ষাটগম্বুজ মসজিদের পশ্চিম পাশের ঘোড়া দীঘির পাড়ে জামরুল গাছ লাগিয়ে “গো গ্রীন, গো বিয়ন্ড” ৬৪ দিনে ৬৪ জেলায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এসময়, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন (টোয়াস) এর জয়েন্ট সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম কচি, টোয়াসের সুন্দরবন স্টান্ডিং কমিটির কো চেয়ারম্যান শেখ আবির ইমতিয়াজ, গ্রিন বাংলাদেশের রাকিবুল ইসলামসহ টোওএবি ও টোয়াস-এর নেতৃবৃন্দ এবং স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, ৩০ অক্টোবর থেকে ০১ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বাংলাদেশ-চীন মৈত্রি সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের বৃহত্তম ভ্রমন ও পর্যটন মেলা বাংলাদেশ ট্রাভেল এ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার(বিটিটিএফ)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশকে প্রাকৃতিকভাবে সৌন্দর্য্য মন্ডিত করতে টোওএবি ও টোয়াস এর পক্ষ থেকে “গো গ্রীন, গো বিয়ন্ড” ৬৪ দিনে ৬৪ জেলায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ৬৪ টি জেলায় বৃক্ষ রোপন করা হবে। আজ ষাটগম্বুজে বৃক্ষরোপনের পাশে এই কর্মসূচির শুরু করা রোপনকৃত বৃক্ষ আগামী দুই বছর পর্যন্ত গ্রিন মিশন বাংলাদেশ নামের একটি প্রতিষ্ঠান দেখাশুনা করবে। যাবে গবাদি পশু বা দুষ্টু কেউ এই গাছের ক্ষতি না করতে। বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে টোওএবি ও টোয়াস এর এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
টোয়াবের পরিচালক-ট্রেড এ্যান্ড ফেয়ার মোঃ তাসলিম আমিন শোভন বলেন, “বাংলাদেশের পর্যটনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে উন্নয়ন ও স্থায়িত্বের ভারসাম্য রক্ষার উপর। ‘গো গ্রীন, গো বিয়ন্ড’ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা দায়িত্বশীল পর্যটনের একটি মানদণ্ড স্থাপন করছি, যা আমাদের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করবে এবং অর্থনৈতিক সুযোগও সৃষ্টি করবে। বিটিটিএফ ২০২৫ শুধু গন্তব্য প্রদর্শন করবে না। বরং দেখাবে এই শিল্প একটি সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও আরও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়তে নেতৃত্ব দিতে পারে।
টোয়াবের সভাপতি মোহাম্মদ রফিউজ্জামান বলেন পর্যটন ও স্থায়িত্ব একসাথে চলতে হবে। ‘গো গ্রীন, গো বিয়ন্ড’ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা একটি শক্ত বার্তা দিচ্ছি যে, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ভ্রমণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি প্রকৃতি সংরক্ষণেও অঙ্গীকারবদ্ধ। এই আন্দোলন স্টেকহোল্ডার ও পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে এবং আরও সবুজ ও দায়িত্বশীল পর্যটন ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত করবে।
৩০ অক্টোবর থেকে ০১ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বাংলাদেশ-চীন মৈত্রি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলায় ২০টির বেশি দেশ, ২৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ২ হাজারের বেশি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি এবং ৫০ হাজার এরও বেশি দর্শনার্থী অংশগ্রহন করবে। এছাড়া চারটি বিশেষায়িত হলে ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড, মেডিকেল, দেশীয় ও অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম উপস্থাপন করা হবে।
 
            
 
                                                                    

 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                                                         
                                                        