মব জাস্টিস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ

চাঁদাবাজি ও মব জাস্টিসের মাধ্যমে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় যুব শক্তি ও স্থানীয় সাধারণ জনগণ। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এই অবরোধে চাঁদাবাজি ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি রাজধানীর মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে যুবদল কর্মীরা। একইসঙ্গে, যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ীতে 'শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস' পরিবহন সংস্থার কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠেছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে এবং সারাদেশে চলমান মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু। তিনি বলেন, “সারা দেশে যে মব জাস্টিস শুরু হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে একজন মানুষকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। চব্বিশ-পরবর্তী বাংলাদেশে এই ধরনের বর্বরতা চলতে পারে না। আমরা আজ পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ করে প্রাথমিক প্রতিবাদ জানিয়েছি। যদি দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার না হয়, আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শরীয়তপুর জেলা আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, “আজকের এই অবরোধ কেবল একটি ট্রেইলার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি মিডফোর্ডের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার বিচার না হয় এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেব। সাধারণ মানুষ যদি শান্তিতে না থাকতে পারে, তাহলে কাউকে শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না।”
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসাইন বলেন, “মিডফোর্ড এলাকায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও পদ্মা সেতুর ভাঙন কবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারীরা মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্তিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে সরিয়ে দিই। তারা আমাদের অনুরোধে কর্মসূচি শেষ করেন।”