সতেরো বছর পর ভূমিহীনদের আশ্রায়নের
 
                                        
                                    লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ১’শত টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দের জমি পুনরায় উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ( ৯ জুলাই) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা সড়ে জমিনে উপস্থিত থেকে সারে ছয় একর এ জমি উদ্ধার করেন।
জানা গেছে, ২০০০ সালে কাশীরাম এলাকায় প্রায় ১৫ একর জমিতে ১০০টি ভূমিহীন পরিবারকে ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। তবে ২০০৩-০৪ সালে নদীভাঙনের ফলে ব্যারাকগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে একই স্থানে নতুন চর জেগে উঠলে, প্রতি পরিবারকে ৫ শতাংশ করে কবিলত দলিলের প্রেক্ষিতে ৬.৬৬ একর জমি উদ্ধার করে ১০ ফিট রাস্তা নির্ধারণ করে ভূমিহীন পরিবারগুলোকে উদ্ধার করে দেন।
তবে দীর্ঘদিন ধরে জমির উপর অবৈধ দখলদারদের দখলে থাকার কারণে প্রকৃত অধিকারভোগীরা তাদের জমির দখল পাচ্ছিলেন না। তখন গত জানুয়ারি মাসে একটি সরকারি পরিমাপক (সার্ভেয়ার) দলকে ভূমি পরিমাপে পাঠানো হলে তাদের দখলদাররা ভূমি পরিমাপে বাধা দেন বলে জানা গেছে।
অবশেষে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর একটি টিমের সহায়তায় লাল পতাকা টানিয়ে ৬.৬৬ একর জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীন যাদের বিগত সময় ৫ শতাংশ করে জমি কবিলত করে দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছিল তাদের এ জমি উদ্দার করে বুঝিয়ে দেয়া হয় বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা।
স্থানীয়দের দাবি, আশ্রায়ন প্রকল্পের এই জমিগুলো নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে বসবাসরত অনেকেই অন্যের জমিতে বা সরাকারী বাঁধে বসবাস করছেন। আজ জমি উদ্ধার করে দেওয়ার কারনে ভূমিহীনরা পুনরায় তাদের বসতবাড়ির নির্মাণের ঠিকানা খুঁজে পেলো।
 
            
 
                                                                    

 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                                                         
                                                        