মেসির ম্যাজিক্যাল কামব্যাক, ডে পলের অভিষেকে নাটকীয় জয় ইন্টার মিয়ামির

দুই আর্জেন্টাইন তারকা—একজন বিশ্বজয়ী মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পল, অন্যজন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। দুজনের একসঙ্গে ইন্টার মিয়ামির মাঠে নামার ম্যাচটা ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আর ম্যাচটা ঠিক তেমনি নাটকীয়তায় মোড়ানো এক জয় দিয়েই স্মরণীয় করে রাখল মিয়ামি।
লিগস কাপের নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে মেক্সিকোর আতলাসের মুখোমুখি হয়েছিল ইন্টার মিয়ামি। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচে শেষ মুহূর্তে মেসির পাস থেকেই জয়সূচক গোল করে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় ফ্লোরিডার ক্লাবটি।
অল-স্টার গেমে অংশ না নেওয়ায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন মেসি ও জর্দি আলবা। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নিজের স্বরূপে ফিরেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। প্রথম গোলটিতেও তার সরাসরি অবদান, দ্বিতীয়টিতে তো প্রায় একক নৈপুণ্য।
৯৬তম মিনিটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মেসি। তার কাটিং পাস থেকে গোল করেন মার্সেলো ওয়েইগান্ট। প্রথমে অফসাইডের সিদ্ধান্ত এলেও ভিএআরের সাহায্যে তা বাতিল হয় এবং গোলটি স্বীকৃতি পায়।
এর আগে ৫৮তম মিনিটে মেসির অ্যাসিস্টেই প্রথম গোলটি করেন তেলাসকো সেগোভিয়া। যদিও আতলাসের হয়ে ৮২তম মিনিটে রিভালদো লোজানো গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসির শেষ মুহূর্তের ম্যাজিকেই জয় নিশ্চিত করে মিয়ামি।
এই ম্যাচেই ইন্টার মিয়ামির হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন রদ্রিগো দে পল। জাতীয় দলের সতীর্থ মেসির সঙ্গে ক্লাব ফুটবলেও একসঙ্গে খেলতে নামা তাঁর জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। যদিও গোল বা অ্যাসিস্টে নাম লেখাতে পারেননি, কিন্তু মাঝমাঠে তাঁর উপস্থিতি ছিল কার্যকর।
প্রথমার্ধে উভয় দলই গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোলরক্ষকদের দৃঢ়তায় গোল হয়নি। মিয়ামির গোলরক্ষক রোকো রিয়োস নোভো তিনটি দুর্দান্ত সেভ করেন। বিশেষ করে এদুয়ার্দো আগুইরোর শট ঠেকানোটি ছিল চোখধাঁধানো। আর অর্ধের একদম শেষ মুহূর্তে লুইস সুয়ারেজের শট লাগে ক্রসবারে।
জুলাই মাসে দারুণ ছন্দে রয়েছেন মেসি। এ মাসে তিনি গোল করেছেন ৮টি, অ্যাসিস্ট করেছেন ৫টি। তার দল মিয়ামি এমএলএসে এই মাসে ৫টি ম্যাচের মধ্যে ৪টি জিতেছে এবং একটি ড্র করেছে। মাসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছে তার হাতেই।
ইন্টার মিয়ামির এই জয় শুধু তিন পয়েন্টই এনে দেয়নি, বরং নতুন যুগে প্রবেশ করা এক আর্জেন্টাইন রসায়নের ইঙ্গিতও দিয়ে গেল। দে পল-মেসি জুটির ক্লাব পর্যায়ের প্রথম অধ্যায় শুরু হলো একটি জয় দিয়ে—তাও আবার মেসির জাদুকরী ছোঁয়ায়।