মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা তামিম ইকবালকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট এড়িয়ে চলার পরামর্শ

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবার সত্যিই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। গত ২৪ মার্চ, ডিপিএল চলাকালে হঠাৎ দুই দফা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন তিনি। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার পর হৃদযন্ত্রে রিং পরানো হয়। আপাতত সুস্থ থাকলেও, এখনো ফেরেননি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে।
অসুস্থতার পর তামিম কিছুদিন ব্যাট হাতে নিলেও, দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ফিটনেস ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম মনে করছেন, তামিমের সিরিয়াস ক্রিকেটে ফেরা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তিনি বলেন: ‘এখন তামিমের খেলার সম্ভাবনা বলতে বিনোদনের জন্য ঠিক আছে। তবে হাই-ভোল্টেজ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ যেমন বিপিএল, সেমি-ফাইনাল বা ফাইনাল—এগুলো তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরামর্শ থাকবে, তামিম যেন শুধু ট্রেনিং করে এবং শখের খেলায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ে না খেলাই ভালো।’
তামিমের নিজের বক্তব্যেও ছিল ফিরে আসার ইচ্ছা। মাসকয়েক আগে তাকে যখন ক্রিকেটে ফেরার সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘দ্রুতই।’
তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তামিম কেবল সম্পূর্ণ ফিট হলেই খেলায় ফিরতে পারবেন। অন্তত তিন মাসের বিশ্রাম ও রিহ্যাবের পর পরিস্থিতি বিবেচনায় মাঠে ফেরা সম্ভব।
তামিমের পরিবার ও চিকিৎসকদের বরাতে জানা যায়, ২৪ মার্চ সকালে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে হৃদযন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ে, পরে রিং পরানো হয়। চিকিৎসকরা একে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তামিমের দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ার, তার ফিটনেস এবং মাঠে ফিরে আসার ইচ্ছার কথা বিবেচনায় রাখলেও চিকিৎসকদের মতামত স্পষ্ট—তামিমের জীবন ঝুঁকি নিয়ে ক্রিকেটে ফেরা উচিত নয়।
৩৪ বছর বয়সী তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল ব্যাটার। জাতীয় দলের হয়ে ৭৫টি টেস্ট, ২৪১টি ওয়ানডে ও ৮৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি নিজেকে পুনরায় তৈরি করছেন। তবে তার ভবিষ্যৎ ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
চিকিৎসা, পরিবার ও নিজের মানসিক প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করছে—তামিম কেবল ট্রেনিং ও শখের ক্রিকেটেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখবেন, নাকি আবারও দেশের প্রতিনিধিত্ব করার মতো সাহসিকতা ও ফিটনেস অর্জন করতে পারবেন।