কফির মগ হাতে জয়ের অপেক্ষা, কিন্তু তাসকিনের চোখের সামনেই ধসে পড়ে বাংলাদেশ

চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। নিয়েছিলেন ৪৭ রানে ৪ উইকেট। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২৪৪ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। রান তাড়ায় একপর্যায়ে ১ উইকেটে ১০০ রান তুলে যখন অনায়াস জয়ের আভাস দিচ্ছিল দল, তখন ড্রেসিংরুমে ছিল স্বস্তির আবহ। তাসকিনও কফির মগ হাতে বসে ছিলেন নির্ভার মনে।
কিন্তু নাটকীয় এক ধসে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে যায় বাংলাদেশের। কফির মগ খালি হওয়ার আগেই ৫ ব্যাটার ফিরে যান সাজঘরে! তাসকিনও তড়িঘড়ি প্যাড পরে নেমে পড়েন, তবে তিনিও আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরে যায় ৭৭ রানে।
“একদমই প্রত্যাশিত ছিল না” — তাসকিন
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন বলেন,
“এটা ক্রিকেটের অনিশ্চয়তার কথা মনে করিয়ে দেয়। একদমই প্রত্যাশিত না। ড্রেসিংরুমে কফি নিয়ে বসেছিলাম, হঠাৎ দেখি পাঁচ উইকেট নেই! আশা করি সবাই ভুল থেকে শিখবে। এটা কারো জন্যই ভালো লাগার কিছু না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আজকে যেভাবে শুরু করেছিলাম, আমি মনে করছিলাম ৫–৭ ওভার হাতে রেখেই জিতে যাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সেই ধসটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এটা কষ্ট দেয় কারণ আমিও একজন খেলোয়াড়। বোলিং ও ব্যাটিং মিলিয়ে আমরা একটা দল।”
"ঘাবড়ে গিয়েছিলাম"
তাসকিন স্বীকার করেন, ভালো শুরুর পর দলটি আত্মতুষ্টিতে ভুগেছিল।
“হ্যাঁ, ওই দারুণ শুরুর পর আমরা একটু নির্ভার হয়ে পড়েছিলাম। সবকিছু আমাদের পক্ষে যাচ্ছিল। হঠাৎ রান আউট, তারপর তামিম ভাইয়ের উইকেট। তখন আমরা একটু ঘাবড়ে যাই। স্বাভাবিক খেলা খেলিনি, চাপের মুখে ভেঙে পড়েছি।”
শুধু কফির মগই না, চোখের সামনেই ভেঙে পড়ে স্বপ্নও। তাসকিনের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনও হারিয়ে যায় ব্যাটিং লাইনআপের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই হারে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের মধ্য ও নিচের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। তবে তাসকিনের বার্তা পরিষ্কার—ভুল থেকে শিখতে হবে।
