কক্সের বিধ্বংসী ইনিংসে এসেক্সের দুর্দান্ত জয়

২২১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ডের ব্যাটার জর্ডান কক্স খেলেছেন এক দুর্দান্ত ইনিংস, যা একদম দলের প্রয়োজন অনুযায়ী ছিল। ভাইটালিটি ব্লাস্টে তার ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে এসেক্স জয় তুলে নিয়েছে ৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে। হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ১১টি করে চার ও ছক্কায় সেঞ্চুরি করে রেকর্ডও গড়েছেন কক্স।
চেমসফোর্ডে গত বৃহস্পতিবার টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে হ্যাম্পশায়ার। ওপেনার টবি আলবার্ট ও মিডলঅর্ডার ব্যাটার হিল্টন কাটরাইটের ঝকঝকে ইনিংসে দলটি তোলে ২২০ রান। আলবার্ট ৫৫ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৮৪ রান, আর কাটরাইট ২৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় যোগ করেন ৫৬। টম প্রেস্টের ২৪ বলে ৪১ রানের ক্যামিও ইনিংসও ছিল উল্লেখযোগ্য।
জবাবে এসেক্সের শুরুটা ছিল ধীরগতি ও চাপে ভরা—মাত্র ৩৯ রানে হারায় ২ উইকেট। তবে তিনে নামা উইকেটরক্ষক ব্যাটার কক্স একাই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন। তিনি ৬০ বলে ১১টি চার ও ১১টি ছক্কায় গড়েন ১৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার একক নৈপুণ্যেই ৪ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় এসেক্স।
এই ইনিংস কক্সের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি হলেও, ইংলিশ উইকেটরক্ষকদের মধ্যে এটি এখন সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ফিল সল্টের—২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ১১৯ রান।
সব দেশের উইকেটরক্ষকদের বিবেচনায় কক্সের ইনিংসটি ষষ্ঠ সর্বোচ্চ। তালিকার শীর্ষে আছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, যিনি ২০০৮ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ৭৩ বলে করেছিলেন অপরাজিত ১৫৮ রান, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে।
২৪ বছর বয়সী কক্সের এই সেঞ্চুরি আসতে সময় লেগেছে অনেক। এর আগে তিনি খেলেছেন ১৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ব্লাস্টের ইতিহাসে এসেক্সের হয়ে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০০৮ সালে এই মাঠেই সাসেক্সের বিপক্ষে গ্রাহাম নেপিয়ারের ৫৮ বলে ১৫২ রান এখনও রেকর্ড হিসেবে আছে।
এসেক্সের হয়ে কক্স ছাড়া আর কেউ উজ্জ্বল না হলেও, তার একাই ম্যাচ জেতাতে যথেষ্ট ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে কক্স এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৩টি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টি। ২০২৩ সালে তার অভিষেক হলেও এখনো জাতীয় দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। তবে এমন পারফরম্যান্স ভবিষ্যতে তার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করতেই পারে।