২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানি আজও!
 
                                        
                                    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্ট কর্তৃক দেওয়া খালাসাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের শুনানি এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চলমান। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের পর এখন আসামিপক্ষ তাদের বক্তব্য দিচ্ছে। বিএনপি-ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা বলছেন, হাইকোর্টের দেওয়া খালাসাদেশ টিকে থাকবে।
এ মামলাটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আওয়ামী লীগের দাবি, এ হামলা ছিল দলটিকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্র। অপরদিকে বিএনপির আইনজীবীরা এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা বলে উল্লেখ করে আসছেন।
আওয়ামী লীগপন্থী বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই মামলার রায় রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দায়মুক্তির সংস্কৃতি ভাঙবে কি না, তা নির্ভর করছে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের ওপর।
বিএনপি-ঘনিষ্ঠ মহল বিশ্বাস করে, মামলাটি মিথ্যা ও সাজানো, তাই হাইকোর্টের দেওয়া খালাসাদেশই যৌক্তিক।
মামলাটিতে একাধিক স্তরে ভিন্ন ভিন্ন রায় আসায় এটি এখন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম জটিল ও আলোচিত মামলা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিচারিক আদালত (২০১৮): ১৯ জনের ফাঁসি, ১৯ জনের যাবজ্জীবন।
হাইকোর্ট (২০২৪ জানুয়ারি): সব আসামির খালাস।
রাষ্ট্রপক্ষের আপিল (চলমান): খালাসাদেশ বাতিলের আবেদন।
আওয়ামী লীগের জন্য: যদি হাইকোর্টের খালাসাদেশ বহাল থাকে, তবে এটি রাজনৈতিকভাবে বড় ধাক্কা হবে।
বিএনপির জন্য: খালাস বহাল থাকলে তারেক রহমানসহ নেতাদের ওপর থেকে একটি বড় মামলা সরে যাবে, যা রাজনৈতিক পুনর্বাসনের পথ খুলতে পারে।
সামগ্রিকভাবে: রায়ের ফলাফল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য, নির্বাচনকালীন কৌশল ও দলগুলোর জনমত তৈরিতে গভীর প্রভাব ফেলবে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম মোড় ঘোরানো ঘটনা। এ মামলার চূড়ান্ত রায় কেবল আসামিদের ভাগ্য নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক গতিপথকেও অনেকাংশে প্রভাবিত করবে।
 
            
 
                                                                    

 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        