‘জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে উশৃঙ্খল বাহিনী ঢুকেছে’— সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে ছাত্রনামধারী ফ্যাসিস্ট বাহিনী ঢুকে পড়ে, তারা সংসদ ভবন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।  তিনি বলেন, "অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি এমন কাজ করতে পারে না। "

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, "দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র সুসংহত করতে বিএনপি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায়।  গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা এখন সময়ের সবচেয়ে জরুরি বিষয়, যা শুরু হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে। "

বিএনপির এই নেতা আরও জানান, জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র কাঠামোয় গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধিত হবে।  এর ফলে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠবে, যেখানে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা হবে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, “আমরা নতুন যাত্রা শুরু করেছি।  ধৈর্য, সহনশীলতা এবং গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।  তবেই শহিদদের আত্মত্যাগ ও রক্তদান সার্থক হবে।”

আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি জানান, এনসিপি এবং কয়েকটি বাম ধারার দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেনি, তবে স্বাক্ষরের সুযোগ উন্মুক্ত রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে তারা স্বাক্ষর করবেন।  গণতন্ত্রে মতভেদ স্বাভাবিক এবং সহনশীলতার মধ্য দিয়েই রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, "জুলাই আন্দোলন নিয়ে কিছু সংগঠন অভিযোগ করলেও তা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি; তবে ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি সংশোধন করা হয়েছে।  এরপরও যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, তা কিছু উশৃঙ্খল ব্যক্তির কাজ। "

তিনি অভিযোগ করেন, "আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী এখনো দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।  গতকালও সেই তৎপরতা দৃশ্যমান ছিল।  প্রকৃত জুলাই যোদ্ধারা এসব ঘটনায় জড়িত নয়। "

শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই জাতি মনে করে, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের এই সমাধিই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিকানা।  এখান থেকেই বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল।”