‘গোপালগঞ্জ সারা বাংলাদেশের’ — এনসিপির তাসনিম জারা
 
                                        
                                    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা বলেছেন, “গোপালগঞ্জ সারা বাংলাদেশের। কোনো ব্যক্তি বা পরিবার আর বাংলাদেশকে কিনে নিতে পারবে না।”
বুধবার (১৬ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তাসনিম জারা লেখেন, “বগুড়া, কুমিল্লাসহ যেভাবে জেলাগুলোকে দলীয়করণ করা হয়েছে, যেভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে, সেই সংস্কৃতিতে আমরা আর ফিরতে চাই না। গোপালগঞ্জকে বাদ দিয়ে নয়—গোপালগঞ্জকে সঙ্গে নিয়েই নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “‘৭১ আমাদের, ‘২৪ আমাদের। এই জনপদের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, করে যাবে। বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।”
এদিকে, বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায় এনসিপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘জুলাই পদযাত্রা’-র অংশ হিসেবে আয়োজিত এক সমাবেশে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা—এমন অভিযোগ এনসিপির পক্ষ থেকে এসেছে। সমাবেশস্থলে থাকা মঞ্চ, চেয়ার ও সাউন্ড সিস্টেম ভাঙচুর করা হয় এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে সকালে সদর উপজেলার গান্ধিয়াশুর এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মসূচি ঠেকাতে ইউএনও এম রকিবুল হাসানের গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থক বলে দাবি করেন ইউএনও।
তিনি বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মসূচি উপলক্ষে আমরা এলাকাটি পরিদর্শনে গেলে প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা হয়, পরে আমার গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুর চালায় তারা।”
সকালে আরও একটি বড় ঘটনা ঘটে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায়, যেখানে পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে। এর অংশ হিসেবে বুধবারের পদযাত্রা ও সমাবেশ ছিল গোপালগঞ্জে। এর আগেই দলটির ভেরিফায়েড সামাজিক মাধ্যমে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
তাসনিম জারার ভাষায়, “আমাদের এই পথচলা বৈষম্যের বিরুদ্ধে, একটি সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়ার জন্য। চ্যালেঞ্জ অনেক, কিন্তু মানুষ যখন জাগে, ইতিহাস বদলায়।”
 
            
 
                                                                    

 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        