বয়স বাড়লেও মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ রাখার ৫টি কার্যকর উপায়!

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখা এবং ডিমেনশিয়া ও মানসিক অবসাদ থেকে নিজেকে রক্ষা করা অনেকেরই লক্ষ্য। বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু কার্যকর অভ্যাস শেয়ার করেছেন, যা নিয়মিত মেনে চললে মস্তিষ্ক থাকবে সুস্থ ও তীক্ষ্ণ।
১. নিয়মিত হাঁটুন:
নিউরোসায়েন্টিস্ট ডা. ওয়েন্ডি সিজুকি বলেন, সবার জন্য দৈনিক ১০ মিনিট হাঁটাও যথেষ্ট। হাঁটা মস্তিষ্কে ডোপামিন ও সেরোটোনিন উৎপন্ন করে, উদ্বেগ ও অবসাদ কমায় এবং বৃদ্ধির ফ্যাক্টর বাড়ায়। ধারাবাহিকভাবে সপ্তাহ, মাস ও বছর ধরে হাঁটার অভ্যাস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
২. নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন:
ডা. রিচার্ড রেস্টাক (৮২ বছর বয়সেও নতুন বই লিখছেন) বলেন, বিরক্তি এড়ানো এবং মজারভাবে নতুন কিছু শেখা মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। কার্যকর অভ্যাসের মধ্যে রয়েছে:
১. নতুন ভাষা শেখা
২. নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া
৩. নতুন বই পড়া
৪. মেমোরি গেম খেলা
৫. নতুন জায়গা ভ্রমণ করা
৩. সামাজিক সংযোগ বজায় রাখুন:
গুণগতমানসম্পন্ন সামাজিক সম্পর্ক মানসিক চাপ কমায় এবং মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ রাখে। একা হাঁটা বা স্বাস্থ্যকর খাবার ভালো, তবে অন্যদের সঙ্গে করলে সুবিধা দ্বিগুণ হয়।
৪. আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে মস্তিষ্ক আরও নমনীয় হয়। জয় কন্ডিশনিং চর্চা করলে ইতিবাচক স্মৃতি মনে করে সেই অনুভূতি পুনরায় অনুভব করা যায়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৫. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য যাচাই করুন:
‘ব্রেন কেয়ার স্কোর’ পরীক্ষা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বোঝার একটি কার্যকর উপায়। এখানে সামাজিক সম্পর্ক, খাদ্যাভ্যাস, ঘুম, ধূমপান ও চাপ নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা হয়। কম স্কোর থাকলে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোর দিকে মনোযোগ দিলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব।
মস্তিষ্ক সুস্থ রাখা কঠিন নয়। নিয়মিত হাঁটুন, নতুন চ্যালেঞ্জ নিন, সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকুন, আবেগ নিয়ন্ত্রণ শিখুন এবং নিজের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য যাচাই করুন। এই পাঁচটি অভ্যাস মেনে চললে বয়স বাড়লেও মস্তিষ্ক থাকবে তীক্ষ্ণ ও সক্রিয়।