ভাজা না সেদ্ধ—ডিম কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় একটি খাবার ডিম। রান্না, ভাজি, পোচ বা সেদ্ধ—বিভিন্নভাবে খাওয়া হয় এই পুষ্টিকর খাদ্যটি। তবে ডিম ভাজা ভালো, না সেদ্ধ—এই প্রশ্নে বিভ্রান্ত অনেকেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম হেলথ শটস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেদ্ধ ডিম ভাজার তুলনায় অধিক স্বাস্থ্যকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম সেদ্ধ করলে এতে তেল, মাখন বা অতিরিক্ত চর্বি যুক্ত হয় না, ফলে এটি পরিষ্কার প্রোটিনের উৎস হিসেবে থেকে যায়। বিপরীতে ডিম ভাজার সময় প্রয়োজন হয় তেল বা মাখনের, যা এতে অতিরিক্ত ক্যালোরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যোগ করে।
সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা:
১. ক্যালোরি কম: ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেদ্ধ ডিম উপযুক্ত।
২. প্রোটিন সমৃদ্ধ: পেশি রক্ষণাবেক্ষণ ও দেহের সুস্থতায় কার্যকর।
৩. ভিটামিন ও খনিজ: এতে থাকে বি২, বি১২, ডি ভিটামিন, আয়রন ও সেলেনিয়াম।
৪. অতিরিক্ত চর্বিমুক্ত: তেল ব্যবহার না হওয়ায় চর্বির পরিমাণ থাকে কম।
ভাজা ডিমের সীমাবদ্ধতা:
১. উচ্চ ক্যালোরি: তেল বা মাখনে ভাজার ফলে ক্যালোরি বেড়ে যায়।
২. চর্বির ঝুঁকি: ভাজার মাধ্যমে ডিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত হতে পারে।
৩. পুষ্টিগুণ ঠিক থাকলেও প্রক্রিয়াজাত পদ্ধতি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
সেদ্ধ ডিম: ওজন ও হজমের জন্য উপকারী
সেদ্ধ ডিমে থাকা উচ্চমাত্রার প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। একইসঙ্গে এটি সহজে হজমযোগ্য, যা পেট ও হজমতন্ত্রের জন্য উপকারী। ডিম পুষ্টিকর হলেও, সেটি কীভাবে রান্না করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে এর পুষ্টিমান ও স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাই সুস্থ থাকতে ডিম সেদ্ধ করে খাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।