বুসানে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক শুরু
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রথম সামনাসামনি বৈঠক।
চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকটি তিন থেকে চার ঘণ্টার হতে পারে বলে আশা করছেন ট্রাম্প।
অ্যাপেকভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের ৩২তম বৈঠকে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করছেন ট্রাম্প ও শি জিনপিং। এর ফাঁকে বুসানে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হচ্ছে।
স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে ট্রাম্প আগে বুসানের গিমহায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বলে জানায় রয়টার্স। এর কিছুক্ষণ পর একই বিমানবন্দরে অবতরণ করে চীনের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজটিও।
এর আগে গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং ট্রাম্পের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন।
বিবিসি জানায়, গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়া সফররত ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, চীনের সঙ্গে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে যাচ্ছি, যা দুই পক্ষের জন্যই ভালো হবে। এটা লড়াই করার চেয়ে অনেক বেশি যুক্তিসংগত এবং বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা এমন কিছু পেতে যাচ্ছি, যা সবার জন্যই রোমাঞ্চকর হবে।’ খবর সিএনএন, এনবিসির
ট্রাম্প জানান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করা মোটেও ভালো বিষয় নয়। দুই দেশের স্বার্থেই একটি ‘ভালো চুক্তি’ করতে চান তিনি, যা পারস্পরিক সমঝোতা ও স্থিতিশীলতার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির দেশের প্রধান দুই নেতার এই বৈঠককে ঘিরে আন্তর্জাতিক বাজারে আশাবাদ দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সমঝোতা বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে। দুই দেশের মধ্যে শুল্কনীতি, উচ্চ প্রযুক্তির চিপ, ফেন্টানিল পাচার, সয়াবিন বাণিজ্য ও বিরল ধাতুর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আলোচনার আগে সদ্ভাব প্রদর্শনের অংশ হিসেবে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোফকো যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন সয়াবিন আমদানি করেছে, যা সম্ভাব্য বাণিজ্যের ‘শুভ সূচনা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোটের (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প তাঁর এশিয়া সফর শুরু করেন। সেখান থেকে তিনি জাপানে যান। জাপান থেকে দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন ট্রাম্প। দক্ষিণ কোরিয়া সফরের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের এবারের এশিয়া সফর শেষ হবে।


