দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে কীভাবে সংঘাতে জড়াল ভারত-পাকিস্তান?

কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর থেকেই একে অপরকে কোণঠাসা করতে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিতে শুরু করে ভারত ও পাকিস্তান। পানিচুক্তি থেকে শুরু করে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা শেষে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে একে অপরের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নিলো দুই দেশ?
পহেলগামে হামলার সপ্তাহ পার হতে না হতেই প্রথম ধাক্কাটা আসে ভারতের পক্ষ থেকে। হামলার সঙ্গে পাকিস্তানি মদদের অভিযোগে সিন্ধু পানিচুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করে দেশটি। এই পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের সমতুল্য’ আখ্যা দিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো পানিপ্রবাহ বন্ধ করা হলে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় পাকিস্তান।
তবে কোনো পাত্তা না দিয়ে সিন্ধুর উজানে একযোগে ৬টি নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ শুরু করে ভারত। চুক্তি স্থগিত হওয়ায় পাকিস্তানকে আগাম নোটিশ না দিয়েই বাঁধ নির্মাণের পদক্ষেপ নেয় ভারত। কিরথাই, সাওয়ালকোট, পাকাল দুল – একে একে সব প্রকল্পে কাজ শুরু হতে থাকে, লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন।
এদিকে পানির লড়াইয়ের মাঝেই বাণিজ্য যুদ্ধেও নামে দুই দেশ। পাকিস্তানি সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করে ভারত। এমনকি বাতিল করা হয় পরোক্ষ ট্রানজিটও। জাহাজ চলাচলেও পড়ে কড়া বিধিনিষেধ।
অবশ্য পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানও সময় নষ্ট করেনি। নিজেদের বন্দরে ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান।
আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয় ভারত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে পাকিস্তানের ঋণ বিতরণ পর্যালোচনার অনুরোধ করে দেশটি। আর ঠিক তখনই ইটের জবাবে পাটকেল ছোঁড়ে পাকিস্তান।
‘আব্দালি উইপন সিস্টেম’ নামের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালায় দেশটি। ইসলামাবাদের দাবি, এটি ‘সিন্ধু মহড়া’র অংশ। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি এসব পদক্ষেপের মধ্যে শেষ পর্যন্ত বুধবার (৭ মে) ভোরে সরাসরি হামলায় জড়ায় দুই দেশ।