গোপনে বিয়ে করেছেন হিরো আলম, গুরুতর অভিযোগ এক নারীর

হাসপাতালে অসুস্থ বাবা আবদুর রাজ্জাকের (পালিত বাবা) সেবা না করায় স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন হিরো আলম। যা উঠে এসেছে খবরের শিরোনামেও। শুধু তাই নয়, বাবার মৃত্যুর পর রিয়া মনির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগও আনেন তিনি। জানান, শুধু নিজের সংসারই নয়; রিয়ার কারণে ভেঙেছে আরও দুইজনের সংসার।
হিরো আলমের এসব অভিযোগের মাঝেই এবার তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মিথিলা খান! তার দাবি- হিরো আলম তাকে বিয়ে করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শুধু তাই নয়, তার উপর চালানো হয়েছে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনও। আর দু’এক দিনের মধ্যেই হিরো আলমের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলা করবেন মিথিলা খান।
তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে হিরো আলমের বিয়ে হয়েছে তার অফিসে, কাজী এনে। গত বছর সেপ্টেম্বরে আমরা বিয়ে করি (নিজেকে পাঁচ নম্বর স্ত্রী দাবি করছেন)। বিয়ের দেনমোহর ১০১। আমাদের বিয়েটা হয়েছে অনেকটাই গোপনে। তবে বিয়ের বিষয়ে ওর মা, বোন, বোনের জামাই ও বন্ধুরা জানত। আমার বিয়ের সাক্ষীর আলমের (হিরো আলম) কাছের দু’জন আল আমিন ও সেলিম। আলমের বাবা যখন অসুস্থ ছিল, তখন আমি ওর পাশে ছিলাম। হাসপাতালে থেকে ওর বাবার সেবাযত্নও করেছি- এটা ওর পরিবারের সবাই জানে।’
মিথিলা আরও বলেন, ‘আমাদের পরিচয় হয়েছে বিয়ের মাস দুই আগে। আমার একটা ব্যবসা আছে সেই সুবাদে। পরিচয় থেকে একটা পর্যায়ে আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। বিয়ের পর কয়েক মাস ওর সঙ্গে আমার সংসারও হয়েছে। আমি তো ওর বগুড়ার বাসায়ও ছিলাম দুই মাস।’
হিরো আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘একটা ভাইরাল ছবিকে কেন্দ্র করে আলমের সঙ্গে আমরা ঝগড়া লাগে। তখন ওর মা ও মেয়ে (আগের সংসারের) আমার গায়ে হাত তোলে। তখন আলমও আমাকে মারধর করে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে বগুড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও সেসময় আলম আমাকে চুপ থাকার হুমকিও দিয়েছে। আমি যদি চুপ না থাকি ও আমাকে গুম করে ফেলবে- এসব কথাও বলেছে। এরপরই আমি সেখান থেকে ঢাকায় চলে আসি এবং অসুস্থ শরীর নিয়েই থানায় যাই আলমের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা করতে। থানা থেকে আমাকে চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলা হলে আমি হাসপাতালে ভর্তি হই। এর মধ্যেই আলম ফোন করে আমাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছে। আমি ওকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের বিয়ে বিষয়টি সবার সামনে আনতে। কিন্তু ও বিষয়টি নিয়ে নয়ছয় করছে।’
মিথিলা আরও বলেন, ‘শুধু মারধরই নয়, আলম আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১০ লাখ টাকাও নিয়েছে। সেই প্রমাণও আমার কাছে আছে। ও যদি আমাকে স্ত্রীর সম্মান দিয়ে আবার বাসায় তুলে, বিয়ের কথা আর যেসব ভুল করেছে তা স্বীকার করে নেয়, তাহলে আমি ওকে ক্ষমা করে দিব। কিন্তু বিয়ের কথা গোপন রেখে বা পরকীয়া প্রেমিকা হিসেবে সে আমাকে সমাজে তুলে ধরবে- এটা আমি মেনে নেব না। দু’এক দিনের মধ্যেই আমি আলমের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলা করব।’
মিথিলা খানের দাবি ও অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে হিরো আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে হিরো আলমের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ঘনিষ্ঠজন। তিনি এও জানান, আজ রবিবার রাত ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন রিয়া মনি।