গণভোট ছাড়া জাতীয় নির্বাচন নয়, যারা বিরোধিতাকারীরা জনগণের শত্রু: ড. মাসুদ
জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে জনগণের মতামত যাচাই করতে গণভোট আয়োজন অপরিহার্য। গণভোট ছাড়া জনগণ কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচন মেনে নেবে না। তিনি বলেন, যারা গণভোটের বিরোধিতা করছে, তারা আসলে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অস্বীকার করছে এবং জনগণের শত্রুতে পরিণত হচ্ছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা চত্বরে উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আয়োজনে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠা তাণ্ডবের প্রতিবাদে ও হত্যাকীদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. মাসুদ বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে এবং সেই বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বাউফলের জনগণ কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ বা দখলদারের কাছে মাথা নত করবে না। ইসলাম, দেশ ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে জামায়াত সবসময় দৃঢ় অবস্থানে থাকবে।”
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে “বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়” আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “সেদিন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়ে ছয়জন ভাইকে শহীদ করেছে। আমরা টানা ১২ ঘণ্টা হামলার মুখে থেকেও পিছিয়ে যাইনি। ইনশাআল্লাহ, ২০২৬ সালের নির্বাচনে ইসলামের বিজয়ের মাধ্যমে সেই শহীদদের রক্তের প্রতিফল ঘটবে।”
এর আগে বাউফল উপজেলা চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাউফল সরকারি কলেজ রোডে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. ইসহাক মিয়া, সেক্রেটারি মো. খালিদুর রহমান, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গনি, মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কাজী আব্দুর দাইয়ান, কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুল ইসলাম নজরুল, আরিফুর রহমান পলাশসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।


