আজ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাস্তবতায় নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক
ও ন্যায্য অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয় এই দিবস।
যদিও অভিবাসন বিশ্ব অর্থনীতি ও সমাজে ইতিবাচক
ভূমিকা রাখছে, তবু এখনও এটিকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়।
এ বছরের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘মাই গ্রেট স্টোরি:
কালচারস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’। এই প্রতিপাদ্যের
মূল বক্তব্য হলো, অভিবাসন কেবল অর্থনৈতিক প্রয়োজনে নয়, এটি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে,
সমাজের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলে এবং পারস্পরিক সহায়তা ও অভিযোজনের সক্ষমতা বাড়ায়। বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় এই বার্তা আরো জরুরি হয়ে
উঠেছে। কারণ অভিবাসন আজ বৈশ্বিক অর্থনীতি,
সমাজ ও উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি।
অভিবাসনকে অনেক বিশেষজ্ঞই একবিংশ শতাব্দীর শক্তি হিসেবে দেখছেন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের
দেশগুলোতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৬৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে
পারে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। শ্রমঘাটতি পূরণ,
নতুন উদ্ভাবন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষায় অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করছেন। তবে এসব অবদান তখনই সর্বোচ্চ
ফল দেয়, যখন অভিবাসন ব্যবস্থা নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়।
বৈধ উপায়ে পরিচালিত অভিবাসন একটি কৌশলগত সম্পদ। এটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়, সামাজিক সংহতি
জোরদার করে এবং সংকট মোকাবিলায় সমাজকে আরও সহনশীল করে তোলে। সঠিক নথিপত্র, দক্ষতার
স্বীকৃতি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের সুযোগ নিশ্চিত করা
গেলে অভিবাসীরা যেমন নিরাপদ জীবন ও ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন, তেমনি গন্তব্য দেশ ও নিজ দেশ
উভয়ই লাভবান হয়।