‘শাপলা না পারলে ধানের শীষও নয়’ — নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে এনসিপি নেতার প্রতিক্রিয়া

নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে শাপলা ফুলকে অন্তর্ভুক্ত না করার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তার মতে, শাপলা প্রতীক হিসেবে অযোগ্য হলে, ধানের শীষসহ জাতীয় প্রতীকের অন্যান্য অংশও প্রতীক হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
বুধবার (৯ জুলাই) মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন সারজিস।
‘শাপলা হলে ধানের শীষও প্রশ্নবিদ্ধ’
ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, “শাপলা জাতীয় প্রতীক নয়, বরং জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ। একইভাবে ধানের শীষ, পাটপাতা, তারকাও জাতীয় প্রতীকের অংশ। শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে না পারে, তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না।”
তিনি যুক্তি দেন, যদি জাতীয় প্রতীকের কোনো একটি অংশ রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহারযোগ্য হয়, তাহলে শাপলাকেও সেই অধিকার দেওয়া উচিত।
‘কাঁঠাল থাকলে শাপলা কেন নয়?’
জাতীয় ফল কাঁঠাল ইতোমধ্যেই একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে উল্লেখ করে সারজিস আলম আরও লেখেন, “জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলার প্রতীক হতে আইনগত বাধা নেই। কারণ, জাতীয় ফল কাঁঠাল অলরেডি মার্কা হিসেবে আছে। আর যদি মার্কা দেখেই ভয় পান, তাহলে সেটা আগে থেকেই বলেন।”
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে ‘শাপলা’ প্রতীক অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরপরই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট দেন এনসিপি নেতা সারজিস।
প্রসঙ্গত, শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল হলেও, এটি অনেকের কাছে রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে এনসিপির দাবি, প্রতীক বরাদ্দে ‘বাছাইমূলক বাধা’ গ্রহণযোগ্য নয়।