বিয়ার সম্মেলন ও সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম শুরু আগারগাঁওয়ে

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমপ্লেক্সে শুরু হচ্ছে প্রথমবারের মতো আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সম্মেলন—‘বিয়ার সম্মেলন’ ও ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫’।
বুধবার (১৬ জুলাই) শুরু হয়ে এই দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প খাতকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার উপযোগী করে গড়ে তোলার নানা দিক উঠে আসবে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এজ প্রকল্প ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর যৌথ আয়োজনে এবং বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় এই আয়োজন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
সেমিকন্ডাক্টর খাতেই ১৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্ভাবনা
গত মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) আইসিটি বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন,
“সরকার, সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া ও প্রবাসী মেধাবীদের সমন্বয়ে এই সম্মেলন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। ইতোমধ্যে জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর নীতিমালার খসড়া চূড়ান্তের পথে।”
তিনি আরও জানান, সেমিকন্ডাক্টরভিত্তিক পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারকদের জন্য ৫–১০% নগদ প্রণোদনা প্রদানের প্রস্তাব সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। মাত্র ২০ হাজার দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে পারলেই আগামী ১০ বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে সম্মেলন, অংশ নিচ্ছেন রাজনৈতিক প্রতিনিধিরাও
সম্মেলনের আহ্বায়ক ও ইতালির পাড্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মোস্তফা হোসাইন বলেন, “জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে এমন আয়োজন আমাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। ‘বাংলাদেশ: অ্যাজ এ নেশন অব ইনোভেশন’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আমরা এআই, বায়োটেক, ইলেকট্রনিক্স ও রোবটিক্স—সামগ্রিকভাবে BEAR (Biotech, Electronics, AI & Robotics) খাতের সম্ভাবনা নতুনভাবে তুলে ধরছি।”
তিনি আরও বলেন, “এই সম্মেলন শুধু প্রযুক্তির আলোচনা নয়, বরং শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলবে। পাশাপাশি সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম বাংলাদেশকে বিশ্বমানের টেক হাব হিসেবে আত্মপ্রকাশের পথ দেখাবে।”
আইসিটি সচিব জানান, সম্মেলনের বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও এনসিপির প্রতিনিধিরাও আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে থাকছে টেকনিক্যাল সেশন, প্যানেল আলোচনা ও উদ্ভাবনী প্রদর্শনী। অংশ নিচ্ছেন দেশি-বিদেশি শীর্ষস্থানীয় গবেষক, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক ও বিনিয়োগকারীরা। প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে—তেমন দিকনির্দেশনাও উঠে আসবে এই আয়োজনে।