পল্লী বিদ্যুতের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুনর্বহালের দাবি

পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কার আন্দোলনে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি পুনর্বহাল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাকরিচ্যুত ওয়্যারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ। বক্তব্যে তিনি বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রয় করা নিম্নমানের মালামাল দিয়ে ভঙ্গুর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা নির্মাণ করে গ্রাহক হয়রানি এবং গ্রাহক বনাম সমিতির কর্মরত কর্মচারীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ব্যর্থতার দায়ভার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর ওপর চাপানো, নানান আর্থিক অনিয়ম, কর্মক্ষেত্রে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করা কর্মীর দায় না নিয়ে বরং সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও অব্যাহত জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়নের কারণে দীর্ঘকালের অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে তাদের আন্দোলন শুরু হয়।
আবু সালাম জাবেদ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে ২২ আগস্ট তারিখ আরইবি এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রথম সভা ডাকা হলে সেখানে আরইবির প্রতিনিধি উপস্থিত হননি। সমিতির প্রতিনিধিরা বিদ্যুৎ বিভাগে উপস্থিত হলে তাদের উপস্থিতি স্বাক্ষর গ্রহণ এবং আরইবি অনুপস্থিত থাকায় পরবর্তীতে সভা আয়োজনের পত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে বিদ্যুৎ বিভাগ নিষ্ক্রিয় থাকেন।
আলোচনায় বসার দাবিতে আমরা ২৪ আগস্ট ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে গণছুটি কর্মসূচি ঘোষণা করা করি। পরে ২৭ আগস্ট আরইবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় রিফর্ম কমিটির কার্যক্রম শুরু করার আশ্বাস দেওয়া হয়, সদ্য ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ, অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়লে মানবিক দৃষ্টিতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করি।
বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যুৎ বিভাগের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন। সরকারের সংস্কারের পক্ষে নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে আমরাও অত্যন্ত আশাবাদী। অথচ এ সংস্কারের কথা বলতে গিয়ে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং মামলা দেওয়া হয়েছে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এসময় যৌক্তিক সংস্কার চাওয়ায় জুলাই স্পিরিট ধারণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি পুনর্বহাল এবং মামলা প্রত্যাহার করে বিদ্যুতের মতো একটি সংবেদনশীল খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে সরকার এবং এর সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তারা।