Times Today
অনুসন্ধান করতে টাইপ করুন

তানভীরকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সমালোচনার ঝড়

তানভীরকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সমালোচনার ঝড়

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে অব্যাহতি পাওয়া গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

জেলা প্রশাসক নিয়োগে প্রভাব বিস্তার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটায় কমিশন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তানভীরের বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাকে। দল থেকে তার বিরুদ্ধে ঘটনা তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সালাউদ্দিন তানভীরের অপকর্ম গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এত স্পর্শকাতর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরও তানভীরকে এখনো কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। একইসঙ্গে তানভীরকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতিতে জড়িত ক্যাডার কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করার দাবি তুলেছেন নেটিজেনরা।

ফজলুল হক নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই কমিশন বাণিজ্যর সঙ্গে কারা জড়িত, সচিবালয়ের মতো এত স্পর্শকাতর জায়গায় কোন শক্তিতে সে এগুলো করত তা বের করা হোক। ’

রিপন প্রামানিক লেখেন, ‘তাকে গ্রেফতার করে না কেন? এরা একটা সময় ধর্মীয় বয়ান দিয়ে বেড়াবে।’

আরেকজন লেখেন, ‘এনসিপি দলটি খোলার দুই মাস হয়নি, এখনো নিবন্ধন হয়নি তাতেই এই অবস্থা। এরা আবার স্লোগান দিয়েছিল লীগের বিরুদ্ধে। এরা ক্ষমতা পাইলে হাজার লাখ না, কোটিতে কোটি ডলার পাচার করবে। সেটাই প্রমাণ করে দিল।’

কাশেম আলী লেখেন, ১৭ বছরের পিওনের ৪০০ কোটি আর ৯ মাসের পিওনের ৩০০ কোটি, নতুন দরবেশ বাবা ৪০০ কোটি।

সাইফুল ইসলাম শরিফ নামের একজন লেখেন, ‘তাকে যারা থাকার সুযোগ করে দিয়েছে তাদের জবাবদিহি করা উচিত।’

কামাল মোল্লা লেখেন, ‘তার বিরুদ্ধে এত এত অপরাধের প্রমাণ থাকতেও তাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?’

ইকবাল হোসাইন মোমিন লেখেন, ‘পাক্কা দরবেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা চাই। তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। ’

তানভীরকে গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে শহিদ সারওয়ার লেখেন, ‘এই নব্য দরবেশকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে তদন্ত করা হোক!’

শামি রাব্বি লেখেন, ‘আইনের আওতায় নিলেই আরও অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে গাজী সালাউদ্দীন ইতোমধ্যে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার এবং গৃহায়নসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় গাজী সালাউদ্দিনের তদবিরে অতিষ্ঠ ছিল। সর্বশেষ সোমবারও তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে তাকে একান্তে আলোচনা করতে দেখা যায়। তানভীর অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পদে নেই। ফলে তার কাছে সচিবালয়ে প্রবেশের নির্ধারিত অনুমতিপত্র বা পাশ থাকার কথা নয়। তবে অভ্যুত্থানের প্রভাব খাটিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের পাশ হাতিয়ে নেন তিনি। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে প্রবেশের সুযোগে সেখানে নিজের একটি বলয় গড়ে তোলেন সালাউদ্দিন। বিশেষ করে বিভিন্ন ব্যাচের কিছু দুর্নীতিবাজ ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। গত বছর ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে ৫৩ জেলায় ডিসি (জেলা প্রশাসক) নিয়োগ দেওয়া হয়। অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সুযোগ নেন সালাউদ্দিন। ওই নিয়োগে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। সে সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখায় কর্মরত বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা, যুগ্মসচিব কেএম আলী আজম এবং ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের কথা শোনা যায়। ড. জিয়াউদ্দিনের কক্ষে তিন কোটি টাকার ব্যাংক চেক পাওয়া যায়। ওই টাকা ডিসি নিয়োগের জন্য অগ্রিম হিসাবে তাকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার হয়। এ দুই কর্মকর্তার সঙ্গে গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের গভীর সম্পর্ক ছিল।

সাবেক সচিব এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) সভাপতি ড. আনোয়ার উল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এক সময় ছাত্র সমন্বয়ক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের অবশ্যই কিছু সত্যতা রয়েছে। তা না হলে দল থেকে বহিষ্কারের কথা নয়।

তিনি বলেন, ঘটনার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা প্রয়োজন। এনসিপি থেকেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দুর্নীতিবাজ ক্যাডার কর্মকর্তাদের সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এনসিপি নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীর যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা বিরুদ্ধে উপস্থাপিত সব অভিযোগের জবাব লিখিত আকারে দলীয় ফোরামে পেশ করা হবে। তখন বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হবে।’


কাশ্মিরের ঘটনায় পাকিস্তানে নিরাপত্তা বৈঠক, সম্পর্কে চরম উত্তেজনা

কাশ্মিরের ঘটনায় পাকিস্তানে নিরাপত্তা বৈঠক, সম্পর্কে চরম উত্তেজনা

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া: গবেষণা

কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া: গবেষণা

নোয়াখালীতে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান, স্ত্রীর মৃত্যু,স্বামী হাসপাতালে

নোয়াখালীতে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান, স্ত্রীর মৃত্যু,স্বামী হাসপাতালে

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি, পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি, পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার

ফ্যাক্টরি সুপারভাইজার থেকে কোটিপতি

ফ্যাক্টরি সুপারভাইজার থেকে কোটিপতি

বিদেশিদের কর্মসংস্থানে লাগাম টানছে সরকার

বিদেশিদের কর্মসংস্থানে লাগাম টানছে সরকার

পুঁজিবাজারে বন্ধ পুঁজির জোগান

পুঁজিবাজারে বন্ধ পুঁজির জোগান

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ দুদক: আইনজীবী

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ দুদক: আইনজীবী

পায়ুপথে গ্যাস ঢুকিয়ে শিশুহত্যা, শিশুশ্রমের নির্মম চিত্র

পায়ুপথে গ্যাস ঢুকিয়ে শিশুহত্যা, শিশুশ্রমের নির্মম চিত্র

যাদের নেতৃত্বে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পায়তারা আ.লীগের

যাদের নেতৃত্বে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পায়তারা আ.লীগের

অবশেষে সরানো হচ্ছে কুয়েটের উপাচার্যকে

অবশেষে সরানো হচ্ছে কুয়েটের উপাচার্যকে

তানভীরকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সমালোচনার ঝড়

তানভীরকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সমালোচনার ঝড়

দুবাইয়ে অর্থপাচারকারী ৭০ ‘ভিআইপি’ শনাক্ত, কর নথি তলব

দুবাইয়ে অর্থপাচারকারী ৭০ ‘ভিআইপি’ শনাক্ত, কর নথি তলব

নোবিপ্রবি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে উপাচার্যের মতবিনিময় সভা

নোবিপ্রবি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে উপাচার্যের মতবিনিময় সভা

বটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তানকে হ*ত্যা করেন মা

বটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তানকে হ*ত্যা করেন মা

শিশু বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলো পিতা, শিশু ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক পেটালো জনতা

শিশু বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলো পিতা, শিশু ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক পেটালো জনতা

বকশীগঞ্জে মসজিদের জমি দখল ও কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বকশীগঞ্জে মসজিদের জমি দখল ও কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

গাজীপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ পয়েন্টে ডাকাতি

গাজীপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ পয়েন্টে ডাকাতি

পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ শশুরের ৪কাঠা জমি ও সমাজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে দিয়ে ফায়সালা

পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ শশুরের ৪কাঠা জমি ও সমাজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে দিয়ে ফায়সালা

নোবিপ্রবির র‍্যাঙ্কিং সেলে শিক্ষার্থী ইন্টার্ন নিয়োগের আহ্বান

নোবিপ্রবির র‍্যাঙ্কিং সেলে শিক্ষার্থী ইন্টার্ন নিয়োগের আহ্বান

সিরাজগঞ্জে ৮ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার

সিরাজগঞ্জে ৮ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার

সৃজনশীল নৃত্যে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম সুসং সরকারি কলেজ

সৃজনশীল নৃত্যে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম সুসং সরকারি কলেজ

পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ

পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ

শরীয়তপুরে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ভূমি কর্মকর্তা সুদেব দাস

শরীয়তপুরে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ভূমি কর্মকর্তা সুদেব দাস

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশের উপর ৩৭% শুল্ক আরোপ

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশের উপর ৩৭% শুল্ক আরোপ

কারখানার কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

কারখানার কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ: বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ: বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক

সাতক্ষীরায় কালের কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিককে ১০ দিনের কারাদন্ড!

সাতক্ষীরায় কালের কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিককে ১০ দিনের কারাদন্ড!

নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্বাক্ষর

নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্বাক্ষর

সব খবর